সাবেক মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীই ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’, তদন্তের তালিকায় আরও ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবার নিজেই ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে তদন্তের মুখে পড়েছেন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) তাঁর মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেটের বৈধতা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। শুধু মোজাম্মেল হক নন, আরও ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন এই তালিকায়।
সরকার ইতোমধ্যে সাবেক সাত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক বিচারপতি, সচিব, আইজিপি, সেনা কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন— এমন দাবির পেছনে যথেষ্ট প্রমাণ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৩ এপ্রিল জামুকার ৯৫তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জামুকা চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। সভায় জানানো হয়, যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের আবেদন, তদন্ত প্রতিবেদন, গেজেট, সভার কার্যবিবরণীসহ অন্যান্য নথিপত্র যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব ইসরাত চৌধুরী জানান, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে সরকারি উদ্যোগ চলছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এর জন্য নির্ধারিত ফরম প্রকাশ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং সরাসরি আসা অভিযোগগুলোও যাচাই করা হচ্ছে।
যাঁদের সনদ ও গেজেট তদন্তাধীন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—
- সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক - সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান - সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম - সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু - সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও টিপু মুনশি - সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেন
তালিকায় আরও আছেন: আওয়ামী লীগ এমপি আমিরুল আলম মিলন ও মীর শওকত আলী বাদশা, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন, অতিরিক্ত সচিব তড়িৎ কান্তি রায়, সাবেক আইজিপি আবদুর রহিম খান, লে. জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির, ক্যাপ্টেন আনারুল ইসলাম, সাবেক কর কমিশনার ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পের পরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শাহ সালাউদ্দিন এবং আরও কয়েকজন।
বিশেষ করে সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে আলোচিত। কোথায় তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন— এ সংক্রান্ত কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে যে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট প্রকাশ করে, তাতে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকেই জাতীয় সংসদে এবং গণমাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
২০২৩ সালে জামুকার একজন সদস্য ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব খ ম আমীর আলী একটি রিট পিটিশন (মামলা নম্বর ১৫১৪২) দাখিল করেন। এতে মোজাম্মেল হকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তে জানা যায়, ভারতের প্রশিক্ষিত ৫১ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় মোজাম্মেল হকের নাম নেই। অভিযোগ রয়েছে, ১৯৮৬ সালে তৈরি লাল মুক্তিবার্তার ভলিউম ঘষামাজা করে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে জামুকা।
মাসুদ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- তুমুল লড়াই, নিহত ভারতীয় সেনা
- ফিরে আসছেন শেখ হাসিনা
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে লুকিয়ে থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরলেন শিরীন শারমিন-পলকসহ ১২ জন
- ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ
- সমবয়সী না ছোট—কাকে বিয়ে করা উত্তম
- অভিনেতা সিদ্দিক যেভাবে আটক হলেন
- উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল পাকিস্তান
- পাক-আফগান সীমান্তে বড়সড় অভিযানে ৭১ সন্ত্রাসী নিহত
- বিশ্বব্যাংকের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে টানা দ্বিতীয় বছর
- ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না