সেনা কর্মকর্তার চাঞ্চল্যকর ভিডিও ফাঁস, সামনে এলো কাশ্মীরে হামলার রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর যখন ভারত পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছে, তখন এক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার ভিডিও বার্তা পুরো ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। সিনিয়র অফিসার অশোক কুমারের এই বিস্ফোরক বক্তব্যে উঠে এসেছে এমন এক অভিযোগ, যা কেবল হতবাকই করেনি, বরং পুরো অঞ্চলে সৃষ্টি করেছে কূটনৈতিক আলোড়ন।
২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই হামলার দায় সরাসরি পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে নেওয়া হয়, যার জেরে বাতিল হয় সিন্ধু পানি চুক্তি, বন্ধ হয় সীমান্ত বাণিজ্য এবং নিষেধাজ্ঞা পড়ে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসার ওপরও।
তবে এই সময়েই ভাইরাল হয় সেনা কর্মকর্তা অশোক কুমারের একটি ভিডিও। সেখানে তিনি দাবি করেন, এই হামলা আদতে বাইরের কোনো জঙ্গি সংগঠনের কাজ নয়—বরং ভারতের অভ্যন্তরেই এটি ছিল একটি "রাজনৈতিকভাবে পরিকল্পিত" ষড়যন্ত্র।
ভিডিওটিতে তিনি বলেন, “এই হামলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতার লড়াই এবং মিডিয়ায় ছড়ানো অনেক তথ্যে সত্যের ছিটেফোঁটাও নেই।” তিনি আরও দাবি করেন, হামলার পর ঘটনাস্থলে সেনা বা মেডিকেল টিম পাঠাতে বিলম্ব করা হয়, যা এই ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়। ভিডিওটি প্রকাশের পর দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়, তবে তা ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী এই হামলাকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এই হামলা ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এক সাজানো অজুহাত।”
প্রশ্ন উঠেছে, কাশ্মীরে যখন পাঁচ লক্ষেরও বেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে, তখন কীভাবে এমন একটি ভয়াবহ হামলা ঘটলো? ঘটনাকে ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উত্থাপন করায় ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন আসামের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম এবং মানবাধিকারকর্মী সায়ক ঘোষ চৌধুরী। তারা সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, এই হামলা ‘সরকারের পরিকল্পিত পদক্ষেপ’ হতে পারে। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “এ ধরনের মন্তব্যে জনগণের মনে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
হামলার খবর পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত দেশে ফিরে আসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাশ্মীরে পাঠানোর নির্দেশ দেন, তবে পরে নিজেই কাশ্মীর সফর বাতিল করেন। এতেই আরও ঘনীভূত হয়েছে রহস্যের ধোঁয়া।
যদিও "কাশ্মীর প্রতিরোধ যোদ্ধা" নামে একটি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে, কিন্তু সেনা কর্মকর্তার এই অস্বাভাবিক দাবিতে গোটা ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা উঠে এসেছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সমবেদনা জানিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে—এই হামলা কি সত্যিই সন্ত্রাসীদের কাজ? নাকি তা ছিল রাজনীতির ছায়ায় ঢাকা একটি নিষ্ঠুর কৌশল? উত্তরের অপেক্ষায় দক্ষিণ এশিয়া।
আয়শা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়লো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের
- তুমুল সংঘর্ষ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে, ৫৪ জনের মৃত্যু
- আলেমদের বেইজ্জতি করার পরিণতি সাতক্ষীরা চেয়ারম্যান
- তুমুল লড়াই, নিহত ভারতীয় সেনা
- ফিরে আসছেন শেখ হাসিনা
- কোন পরিমাণ টাকা থাকলে কোরবানি করা বাধ্যতামূলক
- ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে লুকিয়ে থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরলেন শিরীন শারমিন-পলকসহ ১২ জন
- ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- সমবয়সী না ছোট—কাকে বিয়ে করা উত্তম
- ভারত থেকে যে ৩৩ পন্য আমদানী বন্ধ
- আবারও ছুটি ও বেতন নিয়ে দারুণ সুখবর!
- ভারতকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে, এটা কোনভাবেই কম হবে না
- এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি কর্মজীবনে সুখের ছোঁয়া