| ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

সীমান্তে বাঁধ দিচ্ছে বাংলাদেশ, ড. ইউনূসের মাস্টারস্ট্রোকে ভারতের ঘুম হারাম

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ এপ্রিল ২৫ ২১:৪৬:২৮
সীমান্তে বাঁধ দিচ্ছে বাংলাদেশ, ড. ইউনূসের মাস্টারস্ট্রোকে ভারতের ঘুম হারাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একের পর এক নীতিগত ও কৌশলগত সিদ্ধান্তে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী মুহুরী নদীর তীরে বাংলাদেশের বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম ঘিরে ভারত, বিশেষত ত্রিপুরা রাজ্যে দেখা দিয়েছে কূটনৈতিক ও পরিবেশগত উদ্বেগ।

উল্লেখযোগ্য যে, গত বছর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য হঠাৎ করেই নিজস্ব জলাধার থেকে পানি ছেড়ে দিলে বাংলাদেশের নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এতে লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুহুরী নদীর তীরে একটি প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বলছে, এটি একান্তই একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—নিজেদের জনগণকে আকস্মিক বন্যা থেকে রক্ষা করতেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই সীমান্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য।

ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মুহুরী নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের খবরে দক্ষিণ ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। গণমাধ্যমে এমনও বলা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের এই প্রকল্প যেন শুধু বাঁধ নয়—সরাসরি কূটনৈতিক বার্তা বহন করছে।

ত্রিপুরা সরকারের জলসম্পদ দফতরের সচিব কিরণ গিত্তে বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশ যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তার প্রতিক্রিয়ায় আমরাও যথাযথ প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা নিচ্ছি।”

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার স্পষ্টতই আত্মনির্ভরশীল ও পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করছে। শেখ হাসিনার সময় ভারতের প্রতি একপাক্ষিক নীতি অবলম্বনের যে অভিযোগ ছিল, তা থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ এখন নিজের স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক (ছদ্মনাম) ড. রাশেদুল করিম বলেন, “বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে দেশটি এখন কেবল ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ নয়, বরং ‘প্রতিরোধমূলক’ কূটনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।”

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ—প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ন্যায্য সম্পর্ক বজায় রাখা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। তবে সমতা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতেই এই সম্পর্ক টেকসই হতে পারে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী প্রকল্পগুলো নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের প্রতিক্রিয়া যদি একতরফা হয়, তাহলে আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

জিম্বাবুয়ের কাছে হারের দোষ সরাসরি যার উপর চাপালেন শান্ত

জিম্বাবুয়ের কাছে হারের দোষ সরাসরি যার উপর চাপালেন শান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগের দিন আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে লুইস ফিগো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের আবির্ভাব শুধু মাঠেই নয়, এর ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...