চোরাবালিতে ডুবছে ইউনুস সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রফেসর ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার এখন এক গভীর সংকটে। সমস্যাটা মূলত তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি—তিনি সবকিছুই এনজিওর চশমা পরে দেখেন। তিনি নিজেও একজন এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে আসা ব্যক্তি, তাই রাষ্ট্রচিন্তায় তার মাঝে একরকম পক্ষপাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাষ্ট্রের মতো জটিল ও বহুমাত্রিক কাঠামোকে যদি শুধুই এনজিওর মতো দেখা হয়, তাহলে সেখানে বিপর্যয় ঘটবে—এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে তার সরকারের কিছু সিদ্ধান্তে।
এই বিপত্তিগুলো মূলত এসেছে তার ‘এনজিও বায়াস’ থেকে। তিনি ভাবছেন যে, সমাজের জন্য কিছু ভাল করতে গেলেই সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, গণতান্ত্রিক পর্যালোচনার দরকার নেই। কিন্তু ভুলটা এখানেই—রাষ্ট্র আর এনজিও এক জিনিস না।
সম্প্রতি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রফেসর ইউনুস নিজেই এই রিপোর্টের কিছু অংশ শেয়ার করেছেন, যা নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়েছে। সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো—ধর্মীয় আইনের কিছু দিক নিয়ে এই রিপোর্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ধর্মীয় আইন অনুসরণ নারীদের জন্য বৈষম্যমূলক।
কিন্তু ধর্মীয় অনুশাসন তো অনেকের বিশ্বাসের জায়গা—যেখানে কেউ বাধ্য না, বরং নিজের ইচ্ছায় তা মেনে চলে। কেউ যদি বলে, ধর্মীয় নিয়ম মানলে বৈষম্য হয়—তাহলে তো এটা সেই বিশ্বাসের উপর সরাসরি আঘাত। এভাবে ধর্ম থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না।
আরও বিতর্ক উঠেছে যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিকের মর্যাদা’ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে। এটা বাস্তবতা বিচারে না ভেবে বরং পশ্চিমা মডেল থেকে কপি করা হয়েছে। অথচ, পশ্চিমেও আজকাল অনেক দেশ যেমন ফ্রান্স, সুইডেন ইত্যাদিতে যৌনকর্মী নয়, বরং খদ্দেরদের অপরাধী করা হচ্ছে। অথচ এখানে উল্টোভাবে তা বৈধ করতে চাওয়া হচ্ছে!
নারীর সম্পত্তির অধিকার নিয়ে অনেক কথা উঠছে। ধর্মীয় বিধানে একজন মেয়ে ভাইয়ের চেয়ে কম পায়—এটা অনেকেই বৈষম্য মনে করেন। কিন্তু সমাজে এই বিধান একধরনের ‘সামাজিক ভারসাম্য’ তৈরি করেছে—যেমন মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক, বা ভাইয়ের দায়িত্ববোধ। এই সম্পর্কগুলো শুধু সম্পত্তির হিসাব না, বরং সমাজের ভিতরকার বিশ্বাস ও নির্ভরতার বন্ধনের ভিত্তি। ধর্মের বিধান আর সামাজিক কাঠামো আলাদা কিছু নয়—এই বিষয়গুলো শত শত বছর ধরে আমাদের সমাজে স্থায়ী হয়েছে।
ভারতের মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় সামাজিক সম্পদ ‘ওয়াকফ সম্পত্তি’ এখন হুমকির মুখে। মোদী সরকার সেটাকে ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড’-এর ছায়ায় কুক্ষিগত করতে চায়। এই কোডের লক্ষ্য হল সব ধর্মের জন্য এক আইন—যা শুনতে ভালো লাগে, কিন্তু বাস্তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দানের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা। বাংলাদেশেও এই একই ধারণা ‘সম্পত্তিতে সমান অধিকার’ নামে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য, ধর্মীয় কাঠামোর ভিত্তি দুর্বল করা।
প্রফেসর ইউনুস যেহেতু জনগণের সমর্থনেই ক্ষমতায় আছেন, তাই তার উচিত এই সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, ধর্মীয় অনুভূতি ও সামাজিক মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা করা। বিদেশি এনজিওর চাপিয়ে দেওয়া চিন্তাভাবনা দিয়ে যদি রাষ্ট্র চালাতে চান, তাহলে এই দেশের মানুষ তা গ্রহণ করবে না। কারণ এই দেশ কোনও পরীক্ষাগার না, এই জাতি গিনিপিগ না—এরা বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
যদি এই বাস্তবতা ভুলে যান, তাহলে একদিন এই মানুষরাই আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। তখন আপনি যত বড়ই হোন, যত শক্তি থাকুক—জনগণ যদি সরে যায়, আপনি কিছুই পারবেন না। ইতিহাস আমাদের তা বারবার দেখিয়েছে।
জনগণের সঙ্গে সংযোগ না হারিয়ে, তাদের বিশ্বাস, ধর্মীয় আবেগ ও সামাজিক কাঠামোর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যদি আপনি রাষ্ট্র চালান—তবেই আপনি দীর্ঘদিন নেতৃত্বে থাকতে পারবেন। নাহলে, আপনি হয়ে উঠবেন আরেকটি ব্যর্থ অধ্যায়—যেটা ইতিহাস শুধু মনে রাখবে দুঃখের সঙ্গে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে