জাহান্নামে মূলত এই দুই শ্রেণির মানুষ থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আল্লাহ তাআলা কোরআনে ইরশাদ করেছেন:
"رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ" অর্থ: কাফিররা একসময় আকুলভাবে চাইবে, ‘হায়! যদি আমরা মুসলিম হতাম!’ (সূরা হিজর: ২)
প্রশ্ন হলো—এই আক্ষেপ কখন করবে কাফিররা? তারা তো দুনিয়াতে মুসলিম হতে পারত! তাহলে এই অনুশোচনা কোথায় ও কবে হবে?
প্রখ্যাত মুফাসসির ইবনে আব্বাস (রাযি.) ও অন্যান্য মুফাসসিরগণ ব্যাখ্যা করেছেন—এই আক্ষেপ হবে জাহান্নামে প্রবেশ করার পর। যখন কাফিররা জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে থাকবে, তখন তারা বলবে, “হায়! যদি আমরা মুসলমান হতাম!”
জাহান্নামে মূলত দুই শ্রেণির মানুষ থাকবে:
1. অমুসলিম (কাফির) — যারা আল্লাহ ও ইসলামের শিক্ষা অস্বীকার করেছে।
2. পাপাচারী মুসলিম — যারা গুনাহ করে গিয়েছে, তাওবা করেনি অথবা যাদের তাওবা কবুল হয়নি।
এই দুই শ্রেণির মধ্যে একসময় কথোপকথন হবে। কাফিররা তখন মুসলিম জাহান্নামীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলবে:
“তোমরা তো মুসলিম ছিলে, তাওহীদে বিশ্বাস করতে। আমাদের মতো কুফরি করোনি। তাহলে লাভ কী হলে? তোমরাও জাহান্নামে, আমরাও জাহান্নামে! তোমরা মুসলমান হয়েও কী পেলে?”
এই কটাক্ষের পর মহান আল্লাহর রহমত ও দয়া জেগে উঠবে। তিনি রাগান্বিত হবেন—কারণ একজন তাওহীদবাদী মুসলমান, শুধুমাত্র তার কিছু পাপের কারণে জাহান্নামে এসেছে, আর কাফিররা তাকে তুচ্ছ করছে। তখন আল্লাহ বলবেন:
“হে আমার বান্দা! তুমি যেহেতু দুনিয়াতে তাওহীদে বিশ্বাসী ছিলে, আমি আজ তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। যাও, জান্নাতে প্রবেশ করো।”
আর তখনই কাফিররা আফসোসে বুক চাপড়াবে, বলবে:
“হায়! যদি আমরাও মুসলিম হতাম, তাহলে আজ এই দয়ার আওতায় পড়ে জান্নাতে যেতে পারতাম!”
এই আয়াত আমাদের কী শিক্ষা দেয়?
এই আয়াত থেকে আমরা বুঝি—মুসলমান যদি পাপ করে এবং জাহান্নামে যায়ও, আল্লাহ চাইলে তাকে ক্ষমা করে জান্নাতে স্থান দিতে পারেন। সুতরাং কেউ যদি বলে, "যে একবার জাহান্নামে যাবে, সে চিরকাল সেখানে থাকবে" —এটি সঠিক আকিদা নয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বহু সহীহ হাদিসে বলেছেন, ঈমানদার মুসলমানদের কেউ কেউ পাপের কারণে জাহান্নামে গেলেও একসময় আল্লাহ তাদের মাফ করে জান্নাতে দাখিল করবেন।
এটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকিদা। চিরস্থায়ী জাহান্নামের আকিদা মু’তাজিলা নামক একটি ভ্রান্ত দল মতবাদ প্রচার করেছিল, যা ইসলামি আকিদার পরিপন্থী। আমাদের উচিত এই ভ্রান্ত ধারা থেকে সতর্ক থাকা।জাহান্নামের শরীরিক কোনো চিহ্ন নয়, বরং ঈমান ও আমলই নির্ধারণ করবে কার পরিণতি কী হবে। তাই আসুন, তাওহীদে দৃঢ় থাকি, আল্লাহর প্রতি অনুগত থাকি এবং গুনাহ থেকে বাঁচতে সর্বাত্মক চেষ্টা করি।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন