| ঢাকা, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রথম আলোকে উদ্দেশ করে মুখ খুললেন হাসনাত আবদুল্লাহ

২০২৫ এপ্রিল ২০ ১৬:৩০:২৩
প্রথম আলোকে উদ্দেশ করে মুখ খুললেন হাসনাত আবদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'–কে নিয়ে প্রকাশ্য মন্তব্য করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয় একটি বিতর্কিত প্রতিবেদন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে ঘিরে ওই প্রতিবেদনে তার কথিত ‘বিলাসী জীবনযাপন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তার ভাষায়, “প্রথম আলো দীর্ঘদিন ধরে সৎ ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন প্রচার চালিয়ে আসছে। যারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদেরই টার্গেট করা হয়।” তিনি দাবি করেন, বর্তমানে তিনিই সেই তালিকার সর্বশেষ শিকার।

হাসনাত স্পষ্টভাবে বলেন, “এই প্রতিবেদন একটি পরিকল্পিত আঘাত, যার লক্ষ্য আমাকে চুপ করানো। দিল্লি থেকে বানানো কন্টেন্ট দিয়ে যদি কেউ মনে করে আমি থেমে যাব, তাহলে তারা অন্ধকারেই বাস করছে।”

অনেকে বলছেন, প্রতিবেদনটির সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কারণ মাত্র দুইদিন আগে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুকে একটি পোস্টে সরাসরি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’–এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এরপরই এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ, কাকতালীয় না-কি পরিকল্পিত—তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রথম আলোর প্রতিবেদকের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন হাসনাত। তিনি বলেন, “সাংবাদিক যদি মনে করেন আমি বিলাসী জীবনযাপন করি, তাহলে সরাসরি আমার বাসায় এসে দেখে যান।” তিনি আরও বলেন, “আমি যদি এক টাকাও ঘুষ বা অনৈতিকভাবে গ্রহণ করে থাকি, প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”

হাসনাত দাবি করেন, তার ব্যাংক ব্যালেন্স, ট্যাক্স রিটার্নসহ সকল তথ্য জনসম্মুখে উন্মুক্ত এবং যেকোনো ব্যক্তি তা যাচাই করে দেখতে পারেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এনসিপির অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, অথচ প্রথম আলো দাবি করেছে বিপরীত। হাসনাতের প্রশ্ন—“এত বড় একটি মিথ্যা কীভাবে ছাপা হলো?”

এই পুরো ঘটনার পেছনে এক ‘অদৃশ্য লড়াইয়ের’ ইঙ্গিত দেখছেন অনেক বিশ্লেষক। কেউ একে দেখছেন তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন হিসেবে, আবার কেউ বলছেন এটি একটি সুপরিকল্পিত তথ্য সন্ত্রাস। প্রথম আলো ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদনের কিছু অংশ সংশোধন করেছে, যা এই সন্দেহকে আরও ঘনীভূত করছে।

সামাজিক মাধ্যমে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন—কে সত্যের বাহক, আর কে প্রোপাগান্ডার ফেরিওয়ালা?

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

ওপেনিংয়ে চমক; প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ

ওপেনিংয়ে চমক; প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথমবারের মতো পূর্ণকালীন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ...

আইপিএলে দল পেলেও এনওসি অনিশ্চয়তা মুস্তাফিজের

আইপিএলে দল পেলেও এনওসি অনিশ্চয়তা মুস্তাফিজের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেষমুহূর্তে ৬ কোটি রুপিতে দিল্লি ক্যাপিটালসে সুযোগ পেলেও এখনো নিশ্চিত নয় মুস্তাফিজুর রহমানের ...

ফুটবল

আরো একটি ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

আরো একটি ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ে আবারও দেখা হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের—বাংলাদেশ ও ভারত। ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...