ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা কোটি ডলারের বানিজ্যে ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একের পর এক কৌশল এখন ভেস্তে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিচক্ষণ কূটনৈতিক পদক্ষেপে। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে দেশটি আজ কঠিন সময়েও দেখাচ্ছে দৃঢ়তা এবং আত্মনির্ভরতার দৃষ্টান্ত।
যে বাংলাদেশকে মোদি সরকার দুর্বল প্রতিবেশী ভেবে বিভিন্নভাবে চাপে রাখতে চেয়েছিল, সেই বাংলাদেশ এখন মোদির চালগুলোকেই পাল্টা ফাঁদে ফেলছে। সম্প্রতি, ভারতের একতরফাভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করা ছিল সেই চেষ্টার একটি অংশ। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, বন্দর ব্যবস্থাপনায় চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রতি চাপ সৃষ্টি করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
কিন্তু মোদির সেই ‘চাল’ এবার ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ—চুপচাপ নয়, বরং পরিকল্পিত কৌশলে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রচুর সুতা আমদানি হতো, যা ভারতকে বছরে কোটি কোটি ডলার আয় এনে দিত। এবার সেই আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ। এতে ভারতীয় বাজারে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। তবে বাংলাদেশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশের স্থানীয় শিল্প ও উৎপাদকদের সুরক্ষার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় বস্ত্র খাত, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, হঠাৎ করেই বাণিজ্যিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছেন মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অজুহাত দেখিয়ে ভারত বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এর প্রভাব পড়ে কলকাতাসহ ভারতের প্রধান শহরগুলোয়। হোটেল-মোটেল, হাসপাতাল—সবই যেন পর্যটকশূন্য মরুভূমি। বাংলাদেশি পর্যটক ও চিকিৎসা-সেবা গ্রহণকারীরা না থাকায় কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাইয়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে।
বাংলাদেশ আর ভারতনির্ভর বাণিজ্য চক্রে সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না। তাই এবার দেশটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (RCEP)–এ যোগদানের আগ্রহ দেখিয়েছে। এই জোটে আছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের ১৫টি প্রভাবশালী দেশ, যারা বিশ্ব অর্থনীতির ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং চীনের পক্ষ থেকেও এই উদ্যোগে রয়েছে নীরব সমর্থন।
বাংলাদেশ আজ আর নীরব দর্শক নয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশটি নিজের অবস্থান দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিচ্ছে। অধ্যাপক ড. ইউনুসের নেতৃত্বে নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তই প্রমাণ করছে—বাংলাদেশ আজ আত্মবিশ্বাসী, দৃঢ়চেতা, এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির খেলায় একজন সচেতন কুশলী খেলোয়াড়।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!