ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মেয়াদ ৫ বছর বৃদ্ধির দাবিতে আমরণ অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নোবেল পুরস্কৃত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কার্যত তিন দিন দেশের পরিস্থিতি ছিল সরকারবিহীন। ৮ আগস্ট ড. ইউনূসসহ ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন শপথ গ্রহণ করেন। এর পরেই রাষ্ট্র সংস্কারসহ নানা বিষয় সামনে উঠে আসে এবং তাদের উপর কাজ শুরু হয়।
সম্প্রতি ড. ইউনূসের কাছ থেকে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবি উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে "মার্চ ফর ইউনূস স্যার" ব্যানারে একদল যুবক অনশনে বসেন।
এ সময় সরেজমিনে দেখা যায়, ড. ইউনূস সরকারের মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানোর দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে একদল যুবক অনশন শুরু করেছেন। তারা প্রয়োজনে আমরণ অনশনে বসতে প্রস্তুত। তাদের মাথার উপরে আরেকটি ব্যানার ঝুলছে, যেখানে লেখা রয়েছে - "আগে সংস্কার পরে নির্বাচন; আগে জনতা পরে ক্ষমতা।" ব্যানারের নিচে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবির সাথে পাঁচটি দাবি উল্লেখ করেছেন।
এ পাঁচটি দাবি হল:
১. ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারীদের বিচার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় শেষ করতে হবে।২. রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া আগামী পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকবে, এরপর হবে নির্বাচন।৩. আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে হবে, তারপর জাতীয় নির্বাচন।৪. প্রশাসনের মধ্যে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করে যোগ্য লোক নিয়োগ করতে হবে।৫. নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক হতে হবে।
অনশনে অংশ নেওয়া এক যুবক বলেন, "আমরা চাই ড. ইউনূস স্যারের নেতৃত্বে পরবর্তী পাঁচ বছরে রাষ্ট্রের সব সংস্কার সম্পন্ন হোক। তার অধীনে সংস্কার ছাড়া কিছু সম্ভব নয়। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা অনেক তাজা প্রাণ হারিয়েছি। এসবের বিচার শুধু ড. ইউনূসই করতে পারেন।"
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আরেক যুবক বলেন, "যারা নির্বাচনে অংশ নেয়, তাদের অধিকাংশই নিজের নাম লিখতে পারেন না। তারা ক্ষমতায় এসে এমপি হয়ে যান। শিক্ষিত প্রতিনিধিরাই দেশ ও জাতির উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে পারবেন।"
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ২৯ মার্চ তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, "প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে।"
এ স্ট্যাটাসের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩৭ হাজারের বেশি কমেন্ট আসে। সেখানে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকেই সারজিসের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন, আবার অনেকে তার বিরোধিতা করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, "মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন নোবেলজয়ী বাংলাদেশীকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো যেত, কিন্তু অতীতের সরকার তা করেনি। বরং তাকে অপমান করেছে।"
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেপে উঠল রাজধানী ইসলামাবাদ
- বাংলাদেশকে ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা দেবে যে দেশ
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা