আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকছে না শেখ হাসিনা চলছে ব্যাপক গুঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছে একটি স্পর্শকাতর প্রশ্ন—আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব থেকে কি সরে দাঁড়াচ্ছেন শেখ হাসিনা? ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেতরে বড় ধরনের পরিবর্তনের ছক কষা হচ্ছে। পরিকল্পনা এমন যে, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে ‘পরিচ্ছন্ন’ ও ‘নতুন’ একটি আওয়ামী লীগ গঠনের চেষ্টা চলছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন দলের কিছু ভিন্নমতাবলম্বী ও অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তির নেতারা।
যদিও একাংশ এটিকে নতুন রাজনৈতিক কৌশল বলে দাবি করছে, আবার অনেকে বলছেন, এটি পুরনো কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি—যেখানে ‘কইয়ের তেলে কই ভাজা’র মতো করে আওয়ামী লীগকে রেখে শেখ হাসিনাকে সরানোর ছক আঁকা হচ্ছে।
এই তথাকথিত ‘পরিচ্ছন্ন আওয়ামী লীগ’-এর নেতৃত্বে উঠে আসতে পারেন সাবেক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ঢাকার সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো নেতারা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ তার এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামানের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে এ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। হাসনাতের মতে, এই নেতারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের সামনে আসবেন, শেখ পরিবারের ‘অপরাধ’ স্বীকার করবেন এবং শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করবেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের এক সাবেক কূটনীতিক জানিয়েছেন—বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে দিল্লির সরাসরি কিছু করার নেই, কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন একটি রাজনৈতিক শক্তি।
তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, যদি এই দলটি এমন কারও হাতে চলে যায় যাদের পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, তাহলে তা ভারতের জন্য মোটেই সুবিধাজনক হবে না।
আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই ষড়যন্ত্রের কথা ইতিপূর্বেই জানতেন বলে জানান। তিনি বলেন, “নামগুলো নতুন নয়। এর মাধ্যমে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশ নিতে দেওয়ার নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, ২০০৬ সালেও সেনা-সমর্থিত একটি পরিকল্পনায় শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে বিকল্প আওয়ামী লীগ গঠনের চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। “এইবারও ব্যর্থ হবে,”—এমন মন্তব্য করেন তিনি।
কলকাতায় আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, “বর্তমানে রিফাইন আওয়ামী লীগ নামক এই পরিকল্পনাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা।” তিনি জানান, ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন এবং তাদের আশ্বস্ত করছেন।
তার দাবি, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ইতোমধ্যে ২৩টি জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক শেষ হয়েছে। এসব বৈঠকে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এবং শেষ দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
যদিও পুরো বিষয়টি এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, তবে এটুকু স্পষ্ট—বাংলাদেশের রাজনীতির পটপরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে গঠিত ‘পরিচ্ছন্ন আওয়ামী লীগ’ আদৌ সম্ভব কিনা, বা সেটি জনগণের গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিভক্তি ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিভঙ্গি—দুই-ই যে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে, তা বলাই বাহুল্য।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- জীবনসঙ্গী কি পূর্বনির্ধারিত নাকি মানুষের কর্মফল
- ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে চিঠি
- ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেপে উঠল রাজধানী ইসলামাবাদ
- বাংলাদেশকে ১০ বছর মেয়াদি গোল্ডেন ভিসা দেবে যে দেশ
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত