আলোচনায় সন্তুষ্ট নয় বিএনপি, তবে মুখে হাসি ছিল—বললেন আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংলাপে অংশ নেওয়ার পর বিএনপি সন্তুষ্ট নয় বলেই মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল। তবে আলোচনার শেষভাগে বিএনপি নেতাদের দেখে 'খুশি মনে হয়েছে' বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, "আমরা বলেছি—যদি সম্ভব হয়, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হোক। না হলে জানুয়ারিতে। কিন্তু কেউ যেন এটা ভেবে না বসে যে জুন পর্যন্ত সময় বলার পেছনে সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার কোনো সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য আছে। মোটেই না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—ডিসেম্বর থেকে জুন, এর মধ্যেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, আলোচনা চলাকালে দুই পক্ষই খোলামেলা কথা বলেছে এবং একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করেছে। "বিএনপি অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত তাদের বিরুদ্ধে গেছে। আমরা পাল্টা উদাহরণ দিয়েছি—অনেক সিদ্ধান্ত আবার তাদের অনুকূলেও গেছে।"
বিএনপি রাজনৈতিক হয়রানির মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি চায়—এ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল জানান, তিন মাস আগে সরকারি আইনজীবী অফিস পুনর্গঠন করা হয়েছে, এবং ইতোমধ্যে সাত হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৬ হাজার মামলার তালিকা প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।
"তারা বলেছে—গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে। আমরা ব্যাখ্যা দিয়েছি, আগের সরকারের সময়ের বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করলে বোঝা যাবে কোনো বিলম্ব হচ্ছে না। তারা আরও একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি তুলেছে—আমরা আশ্বস্ত করেছি, সেটাও অচিরেই বাস্তবায়ন হবে।"
আসিফ নজরুল বলেন, "বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই একটি সংস্কারপন্থী দল, এটা আমরা মেনে নিই। তারা ‘ঐক্যমত কমিশন’সহ বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবনায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে তারা কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলেও জানিয়েছেন। জুলাইয়ের মধ্যে একটি ‘চার্টার’ তৈরি হয়ে যাবে বলেও তারা আশ্বাস দিয়েছেন। এতে বোঝা যায়—বিএনপি সংস্কার নিয়ে আন্তরিক।"
সংলাপে "ডিসেম্বর থেকে জুন" টাইমলাইনের ব্যাখ্যা দিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, “এটা কোনোভাবেই ক্ষমতা দীর্ঘায়নের কৌশল নয়। বরং সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজন এবং প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণের একটি বাস্তবসম্মত পরিধি। যেমন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ২৩ বার খসড়া তৈরি করতে হয়েছে, অংশীজনদের মতামত নিতে হয়েছে। এতে সময় লাগে।”
তিনি বলেন, “আজকের গণআন্দোলনের অন্যতম দাবি হচ্ছে—বিচার। যারা চোখ হারিয়েছে, দেহের ক্ষতি হয়েছে, শহীদ হয়েছেন—তাদের বিচার চাই। সেই বিচার ছাড়া নির্বাচন করলে আমরা জনগণের কাছে জবাবদিহি করব কীভাবে? তাই বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন—সবই একসঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।”
আসিফ নজরুল বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে বারবার বলেছেন—কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন জুনের পরে যাবে না। সেটাই সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থান। কেউ যদি আলাদা বক্তব্য দেন, সেটা যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে।”
"আমি যখন সংলাপ শেষে বিএনপি নেতাদের মুখের দিকে তাকিয়েছি, দেখেছি তারা অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। মনে হয়েছে—তারা অন্তত কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন। তবে একজনের কাছে যেমন ভালো লেগেছে, অন্যজনের কাছে হয়তো না-ও লাগতে পারে। এটাই স্বাভাবিক।" — বলেন আসিফ নজরুল।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- ট্রান্সশিপমেন্ট কান্ডে মুখোমুখি দুই দেশ বাংলাদেশের পাল্টা চালে বিপদে ভারত
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- শ্বাসরুদ্ধকর ১৮ ঘন্টা পর হঠাৎ কেন বদলে গেলেন ট্রাম্প
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- জীবনসঙ্গী কি পূর্বনির্ধারিত নাকি মানুষের কর্মফল
- ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে চিঠি
- ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেপে উঠল রাজধানী ইসলামাবাদ