ভুমিকম্পের ভয়াল ছায়ায় ঢাকা যেকোন সময় চলবে বিধ্বংসী খেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা, বাংলাদেশের প্রাণ, যেন ধ্বংসের প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। মিয়ানমারে এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর তার ঝঞ্ঝা ঢাকাকেও ছুঁয়ে যায়। পৃথিবীতে ভূমিকম্পের আগমন কখনোই পূর্বাভাস দিয়ে আসে না। তবে, ছোট ছোট কম্পন অনেক সময় বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত হতে পারে—এমনই হয়েছিল মিয়ানমারে। সেখানে ছোটখাটো কম্পনকে আমলে নেয়নি কেউ, আর তারপরই এক দিন ইতিহাসে লেখা হয়ে যায় এক ভয়াবহ দুর্যোগের দিন। আজ, সেই ভয়াবহ শঙ্কা যেন ঢাকার আকাশে কালো মেঘের মতো জমে উঠেছে।
গত ১১ এপ্রিল, ঠিক একই দিনে মিয়ানমার ও ঢাকায় প্রায় একই মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই ঘটনা সবার মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরাও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। কেন তারা চিন্তিত? যখন একই দিনে মিয়ানমার এবং ঢাকা একই মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে, তখন কি দুই দেশের ভবিষ্যত একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত? বাংলাদেশে কি এটি শুধু একটি সাধারণ কম্পন, নাকি বড় কোনো বিপদের পূর্বাভাস?
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ১১ এপ্রিল বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটে একটি মৃত ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪, যা কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। এই ভূমিকম্পে যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা এই নিয়ে বেশ চিন্তিত।
ইউরোপীয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যানুসারে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে। এর কেন্দ্র ভারতের আগরতলা শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার উত্তরে এবং বাংলাদেশের কুমিল্লা শহর থেকে ৬৮ কিলোমিটার উত্তরে ছিল। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। একই দিনে, মিয়ানমারে ও ঠিক ১০ কিলোমিটার গভীরে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন, কারণ এই ভূমিকম্পের গভীরতা পূর্ববর্তী ভূমিকম্পগুলোর তুলনায় অনেক কম ছিল। সাধারণত, এরকম ভূমিকম্পগুলো ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়, কিন্তু এটি ছিল অগভীর। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে এমন অনেক অগভীর ভূমিকম্প ঘটছে, যা বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ, মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার এক মহাশক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই ভূমিকম্পে ৩,৬০০ এরও বেশি মানুষ মারা যান এবং ৫,০০০ এরও বেশি মানুষ আহত হন। মিয়ানমারের ভূতাত্ত্বিক অবস্থান এমনই, যে একটি দেশে ভূমিকম্প হলে, পাশের দেশেও তা হতে পারে। বাংলাদেশ, ভারত এবং মিয়ানমারের কিছু অংশে একটি সুবিশাল ফল্ট লাইনের উপস্থিতি রয়েছে, যা ভূমিকম্পের ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
এদিকে, ঢাকার অধিকাংশ ভবন এখনও ভূমিকম্প সহনশীল নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরান ঢাকার কিছু এলাকাতে যদি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে, তবে তার প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ। বাংলাদেশের জন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, আটমাত্রা অথবা তার চেয়ে বড় ভূমিকম্প ঘটলে, ঢাকা শহরের অন্তত ৬,০০০ ভবন ধ্বংস হয়ে যাবে এবং প্রাণহানির সংখ্যা হতে পারে ৩ লাখেরও বেশি।
১১ এপ্রিলের ভূমিকম্পটি যদিও স্বল্পস্থায়ী ছিল, তবুও এর প্রভাবে বিভিন্ন স্থাপনাগুলো কেঁপে ওঠে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ভূমিকম্পের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের পোস্ট দেখা যায়, যেখানে মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং নিরাপদ থাকার জন্য পরামর্শ দেন।
একটি প্রবাদ আছে—“যত গর্জে তত বর্ষে”—কিন্তু প্রকৃতি যখন চায়, তখন অল্প গর্জনেই পুরো শহরকেই গ্রাস করতে পারে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশের সাহায্য চাইলেন নগ্ন তরুণী
- টাকা নেওয়া যৌনকর্মী কি দাসীর মত হালাল হবে
- বাটা কোন দেশের কোম্পানি
- পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বড় ভূখন্ড পেল বাংলাদেশ, ভারতের কপাল পুড়ল
- শুধু হামজার কাছেই হারলো সিঙ্গাপুর
- ভাতিজি থেকে বউ, এরপর এক ভয়ঙ্কর দানবে রূপান্তর
- ট্রান্সশিপমেন্ট কান্ডে মুখোমুখি দুই দেশ বাংলাদেশের পাল্টা চালে বিপদে ভারত
- স্বপ্নের দেশে জামাতে নামাজ আদায় নিষিদ্ধ হল
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি
- ছাদ ধসে ৬৬ জন নিহত ১৫৫ জন আহত
- মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি ছাড়ার কঠোর নির্দেশ
- মা-মেয়ে এক সংসারে স্বামীকে নিয়ে থাকছেন একই ঘরে
- ইমাম মাহদীর আগমনের পূর্বে কোন ৩ ব্যক্তির আগমন ঘটবে
- ভারতীয় ভিসা নিয়ে অবশেষে আসলো সুখবর