হাসিনা নয় ভারতের মোদির পথপ্রদর্শক বাংলাদেশের ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত বাড়তি শুল্কে যখন বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল, তখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর একটি চিঠিই বদলে দিয়েছে মার্কিন নীতির মোড়—যা এখন আলোচনার ঝড় তুলেছে আন্তর্জাতিক মহলে।
ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল। শুধু বাংলাদেশই নয়, একসঙ্গে আরও কয়েকটি দেশের ওপরও জারি হয়েছিল এই শুল্ক। ভারতের ওপর ছিল ২৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক। বাড়তি এই শুল্ক বিশ্ববাজারে বড়সড় ধাক্কা দেয় এবং অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা বাড়তে থাকে—এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক যদি বন্ধ না হয়, তাহলে বিশ্ব মন্দা ও দুর্ভিক্ষ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।
এই পরিস্থিতিতে, ড. ইউনূস নিজে চিঠি লেখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তাঁর অনুরোধ ছিল—কমপক্ষে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখা হোক, যেন আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়।
চিঠি পাঠানোর মাত্র দুই দিনের মাথায়, ট্রাম্প এক আকস্মিক ঘোষণায় জানিয়ে দেন—চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এমনকি ভারতের ক্ষেত্রেও শুল্ক কমিয়ে আনা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে ড. ইউনূসের ভূমিকা ছিল সরাসরি। আন্তর্জাতিক মিডিয়া তাঁকে আখ্যা দিচ্ছে—“দ্য ম্যাজিক ম্যান”।
ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপে শুধু বাংলাদেশেরই নয়, ভারতেরও উপকার হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই পরিস্থিতিতে স্পষ্টভাবে টের পেয়েছেন ড. ইউনূসের প্রভাব এবং প্রজ্ঞার বাস্তব রূপ।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরই শেয়ার বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সাত প্রযুক্তি কোম্পানির সম্মিলিত বাজারমূল্য একদিনেই বেড়ে যায় এক ট্রিলিয়ন ডলার। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে, আলোচনার পথ খোলা রাখে।
ট্রাম্প পরে নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Truth Social-এ জানান, “আমি গত ক’দিন ধরে শুল্ক নিয়ে ভাবছিলাম। আজ সকালে হঠাৎ করে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। কোনো আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করিনি—শুধু অন্তরের কথা শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এই ঐতিহাসিক ইউটার্নে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বৈশ্বিক বাজার। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। ড. ইউনূস যে এই সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রেখেছেন, তা এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক প্রকার স্বীকৃত সত্য।
আয়শা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- ট্রান্সশিপমেন্ট কান্ডে মুখোমুখি দুই দেশ বাংলাদেশের পাল্টা চালে বিপদে ভারত
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- শ্বাসরুদ্ধকর ১৮ ঘন্টা পর হঠাৎ কেন বদলে গেলেন ট্রাম্প
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- জীবনসঙ্গী কি পূর্বনির্ধারিত নাকি মানুষের কর্মফল
- ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে চিঠি
- ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেপে উঠল রাজধানী ইসলামাবাদ