| ঢাকা, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

টাকা নেওয়া যৌনকর্মী কি দাসীর মত হালাল হবে

২০২৫ এপ্রিল ১১ ১২:০৫:৩০
টাকা নেওয়া যৌনকর্মী কি দাসীর মত হালাল হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে: ইসলাম যেহেতু নির্দিষ্ট অবস্থায় ক্রীতদাসীর সঙ্গে সহবাসের অনুমতি দিয়েছে, তাহলে কি টাকার বিনিময়ে পতিতালয়ে যাওয়া একই রকম বৈধ হতে পারে? এই ধরনের প্রশ্ন ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব থেকে উঠে আসে বলে মনে করছেন ইসলামি চিন্তাবিদরা।

প্রথমেই পরিষ্কার করা জরুরি, ক্রীতদাসী ও পতিতা—এই দুটি পরিচয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ইসলামিক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ‘ক্রীতদাসী’ বলতে বোঝানো হতো সেই নারীদের, যারা যুদ্ধের পর পরাজিত শিবির থেকে বন্দী হয়ে মুসলিমদের অধীনস্থ হতেন। এরা ছিলেন যুদ্ধবন্দী এবং একটি স্বতন্ত্র আইনগত কাঠামোর মধ্যে অবস্থান করতেন। তাদের মালিকের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে।

অন্যদিকে, পতিতাবৃত্তি বা টাকার বিনিময়ে যৌনসম্পর্ক ইসলামে সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ (হারাম)। এই ধরনের সম্পর্ক চুক্তিভিত্তিক বৈধ বিবাহ বা ইসলামি আইনে অনুমোদিত কোনো ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত নয়।

একজন বক্তা বলেন, “কেউ কেউ ভুলভাবে ক্রীতদাসীকে আজকের বাসার কাজের বুয়া বা সেবিকার সঙ্গে তুলনা করেন, যা সম্পূর্ণ ভুল। ক্রীতদাসী বলতে বোঝায় যুদ্ধবন্দী নারী, যারা শত্রুপক্ষের সঙ্গে চুক্তি না হওয়ার কারণে পরবর্তীতে মুসলিম সমাজে যুক্ত হতেন।”

তাঁর ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, “যুদ্ধের পরে বন্দীদের সমাজে কীভাবে স্থান দেওয়া হবে, সেই প্রশ্নে ইসলাম ক্রীতদাস/দাসী ব্যবস্থাকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে পরিচালনা করত, যেখানে তাদের অধিকারও বিবেচনায় রাখা হতো। তারা ইচ্ছামতো বিক্রি-বিনিময়যোগ্য হলেও, ইসলাম তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার ও তাদের মুক্তির পথ খোলা রাখত।”

বর্তমানে দাসপ্রথা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এবং মুসলিম বিশ্বেও এই ব্যবস্থা বিলুপ্ত। তাই আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে এই বিষয়টি ইতিহাস বা গবেষণার অংশ হতে পারে, কিন্তু তা বর্তমান সমাজে যৌন সম্পর্কের নৈতিকতা বা বৈধতার মানদণ্ড হতে পারে না।

একজন ধর্মীয় বিশেষজ্ঞের ভাষায়, “যেকোনো নারীর সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ইসলামি শরিয়ায় কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। ক্রীতদাসীর সঙ্গে সহবাসের অনুমতির ইতিহাস এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে সীমাবদ্ধ। এ থেকে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা খোঁজা ধর্মীয় অপব্যাখ্যা।”

সার্বিকভাবে, ইসলাম একটি স্বচ্ছ ও নৈতিক ভিত্তির ওপর পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানায়। সেই জায়গা থেকে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তুলনা বন্ধ করা এবং সমাজে সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তার করাই জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রনি/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

নির্লজ্জ সাকিব এখনো ছাত্রলীগের সাথেই আছেন

নির্লজ্জ সাকিব এখনো ছাত্রলীগের সাথেই আছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আবারও বিতর্কে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে লুইস ফিগো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের আবির্ভাব শুধু মাঠেই নয়, এর ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...