তিস্তার পানিতে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতকে ডোবাবে চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিস্তার পাড়ের মানুষের দীর্ঘকালীন কষ্ট আজও মূল্যায়িত হয়নি ভারতের কাছে, বরং বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা শুধু ধোঁকা দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ এবার তিস্তাপাড়ের মানুষের দুঃখ ঘোচাতে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস, যিনি এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন, তার সহায়তা করতে পারে চীন, বিশেষ করে শি জিনপিংয়ের সরকার।
তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের মানুষের অনেকদিনের সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ চীনের সহযোগিতা নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস চীন সফর করেছেন এবং সেখানে শি জিনপিংয়ের সরকারের কাছ থেকে আগ্রহ দেখানো হয়েছে। চীনের রংপুর অঞ্চলের কাছাকাছি সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে এখন ভারত সরকারের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তার পানির বন্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। সিক্কিম থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই নদী বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ২ কোটি মানুষের জন্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে ভারত বাঁধ নির্মাণ করে নদীর পানি আটকে রেখে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যার ফলে বাংলাদেশের কৃষি সেচে সংকট দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানি সঠিক সময়ে না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশের কৃষকরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ছাড়ায় নদী থেকে মানুষজনের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই সমস্যাগুলি সমাধানে বাংলাদেশের সরকার দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। চীন এই প্রকল্পে আগ্রহ দেখানোর ফলে তা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, যদিও বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের বিরোধিতার কারণে তা সঠিকভাবে এগোতে পারেনি। বর্তমানে, নরেন্দ্র মোদির সরকার তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে নানা অজুহাত দেখানোর চেষ্টা করছে।
চীনের সাথে আলোচনা ও সহযোগিতা বাড়ানোর ফলে তিস্তা নদীকে ঘিরে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে তিস্তা নদীর উপকূল ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো নির্মাণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রীষ্মকালে পানি সংকট সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের পরিকল্পনা হয়েছে।
এবার ভারতের একচেটিয়া সুবিধা শেষ হয়ে যেতে পারে, আর তিস্তা প্রকল্প চীনের হাতে চলে গেলে ভারতের অবস্থা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। চীনের সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে রংপুর অঞ্চলে উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতের সরকার এখন অস্থির। একদিকে ভারতের পর্যটন, চিকিৎসা এবং অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের লোকেরা বাড়তি সুবিধা পেয়ে ফেলেছে, অন্যদিকে তিস্তা প্রকল্পে চীনের ভূমিকা ভারতে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
আয়শা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা
- ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের জন্য বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত
- ভাতিজি থেকে বউ, এরপর এক ভয়ঙ্কর দানবে রূপান্তর
- বাংলাদেশকে কঠিন শাস্তি দিলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
- ৩ মিনিটের মধ্যে ২ বার ভূমিকম্প
- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কের মর্মান্তিক মৃত্যু
- হাদিসের বর্ণনায় যে দলটি ফিলিস্তিন জয় করবে
- ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল
- বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম (০৬ এপ্রিল)
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো পাকিস্তান
- বাড়ি ভাড়ার টাকা না থাকায় টয়লেটে থাকেন ১৮ বছরের মেয়ে
- ইসরাইলের পতন নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে কোরআনে
- অবশেষে ৩ বছরের সর্বনিম্নে জ্বালানি তেলের দাম
- নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন ইমরান খান