কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশে ভয়ংকর ভূমিকম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারের ব্যাপক ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশে ভূমিকম্পের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ভূমিকম্পের শক্তি এবং উদ্বেগ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, এবং প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও একই ধরনের শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন একটি ভূমিকম্পের শক্তি প্রায় ৩৩৪টি আণবিক বোমার সমান। এটি পৃথিবীর বুকে ছুরির বড় আঘাতের মতো মনে হতে পারে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ জেমস জ্যাকসন ভূমিকম্পের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেন, "এই ভূমিকম্প এক মিনিট স্থায়ী ছিল।" তিনি আরও বলেন, "ভাবুন, একটি কাগজ ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে এবং তা সেকেন্ডে ২ কিলোমিটার গতিতে ছিঁড়ে যাচ্ছে।"
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ময়মনসিংহ, ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদ্য প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পরপর দুটো শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে, যার রিক্টার স্কেলে মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ এবং ৬.৪। এতে দুই দেশই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, এবং বাংলাদেশেও এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, "ঢাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে যে পরিণতি হতে পারে, তা অকল্পনীয়।" গবেষণায় উঠে এসেছে, মিয়ানমার বা থাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের তুলনায় কম মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ঢাকার প্রায় ৪০% ভবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
গবেষকরা আরও জানান, ১৮৮৫ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুর অঞ্চলে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যা ছিল দীর্ঘ ১৩৯ বছর আগে। যদি এই ভূগর্ভস্থ ফাটল রেখায় বর্তমানে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে, তবে ঢাকায় কমপক্ষে ৮ লাখ ৬৪ হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এতে ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে, যদি এটি দিনের বেলা ঘটে। রাতে হলে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়, ঢাকা তখন বিস্ফোরণের শহরে পরিণত হবে। কারণ, শহরের পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এতই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে যে, ভূমিকম্পে বিপর্যয়ের মাত্রা হবে একেবারেই কল্পনাতীত।
এ বিষয়ে উদাহরণ হিসেবে তুরস্ক ও সিরিয়ার ২০২৩ সালের ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে ৫০০ জনের বেশি তুরস্কে এবং প্রায় ১৫,০০০ জন সিরিয়ায় মারা গিয়েছিলেন। ওই ভূমিকম্পের ভয়াবহতা গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে তুরস্ক বা সিরিয়ার মতো ভূমিকম্প হলে মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়তে পারে, কারণ এখানে ভূমিকম্প-সহনীয় ভবন হাতে গোনা, কিন্তু বহুতল ভবন অসংখ্য। এর ফলে ক্ষতির মাত্রা হতে পারে অনেক বেশি।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- তামিম ইকবালের হার্টে এত দ্রুত রিং পরানো সম্ভব হলো কীভাবে
- দিল্লি ছেড়ে কোথায় শেখ হাসিনা, নতুন ঠিকানা ফাঁস
- অবশেষে ঈদের নির্দিষ্ট তারিখ জানালেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
- বাংলাদেশে ঈদ কি সোমবার, যা জানা গেল
- জ্ঞান ফিরেই যা বললেন তামিম
- জুমার নামাজের সময় ভূমিকম্প, মসজিদ ধসে নিহত অন্তত ২০ জন
- ধোনির চাওয়াতে আইপিএলে চেন্নাইয়ে সাব্বির
- চাঁদ না দেখেই ঈদের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে সৌদি
- আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের কড়া বার্তা
- চাঁদ না দেখে ঈদের ঘোষণা দিতে পারে সৌদি
- ভারতের মাটিতে ভারতকে রুখে দিয়ে গ্রুপ সি-তে শীর্ষে বাংলাদেশ
- শেখ হাসিনা যাকে ফোন দিয়ে ৩০ মিনিট কেঁদেছিলেন
- সবার আগে ঈদের দিন ঘোষণা করলো অস্ট্রেলিয়া
- শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়ল ৯১ বছরের পুরনো সেতু
- ফাঁস হয়ে গেল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ষড়যন্ত্রের তথ্য