কলকাতায় আওয়ামী লীগের গোপন বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আমেজ ঢাকা শহরে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে। নগরবাসী ইতিমধ্যে শহর ছাড়তে শুরু করেছে এবং আগামীকাল বা পরশু ঢাকা সম্পূর্ণ ফাঁকা হয়ে যাবে। এবারের ঈদে ১১ দিনের ছুটি পাওয়া গেছে, যা দেশে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিতাড়িত আওয়ামী লীগ নেতাদের কেপিআই-ভুক্ত সরকারি স্থাপনাগুলোর দিকে নজর রয়েছে এবং তারা ফাঁকা ঢাকায় দলীয় কর্মী ও ভাড়া করা লোকজন জড়ো করে রাজপথ দখল করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পালাতুক নেতারা ভারতে ও দেশে গোপন স্থানে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। আওয়ামী লীগের গুজব সেল সিআরআই ঢাকায় টাকা বিলি করছে, এবং তাদের নেতা ও গোয়েন্দা সূত্র জানায় যে, নাশকতার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে হাজার হাজার বৈধ ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ভীতি এবং উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও, তিনি সেখান থেকে টেলিফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ড. ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হুমকির অডিও রেকর্ড ভাইরাল হচ্ছে।
সূত্রমতে, গত রোববার কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন প্লাজায় একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়, যেখানে ফেনীর সাবেক এমপি এবং পালাতুক আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক, ববি বাহাউদ্দিন নাসিম, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অনেকেই ছিলেন। ইফতার শেষে তারা একটি গোপন বৈঠক করেন।
কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের আওয়ামী লীগের নেতারা গত কিছুদিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তাদের মূল টার্গেট বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং ঢাকার রাজপথ দখল করা। ঈদের ছুটির সময় ফাঁকা ঢাকায় নাশকতা করার জন্য কিছু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য, নেতাকর্মী ছাড়াও ভাড়া করে হাজার হাজার লোক জড়ো করা এবং আগ্নেয়াস্ত্রের মজুদ বাড়ানো।
এর আগে ফাঁস হওয়া একটি হোয়াটসঅ্যাপ কনভার্সেশনে আওয়ামী লীগ নেতা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বলতে শোনা যায়, "ঢাকায় দিনের বেলা আওয়ামী লীগের লোকজন থাকতে পারবে না, কিন্তু রাতের বেলা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না।" এই কনভার্সেশনের পরপরই, ঢাকায় চুরি, ছিনতাই, এবং ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যায়।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- হঠাৎ ফেসবুকে খুশির বার্তা দিলেন মাশরাফি
- দিল্লি ছেড়ে কোথায় শেখ হাসিনা, নতুন ঠিকানা ফাঁস
- ব্রেকিং নিউজ; বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
- জ্ঞান ফিরেই যা বললেন তামিম
- জামিন না পেয়ে আদালতে যা করলেন ডা. দীপু মনি
- ঢাকার অবস্থা আজ খুবই বিপর্যস্ত
- তামিম ইকবালের হার্টে এত দ্রুত রিং পরানো সম্ভব হলো কীভাবে
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাড়ছে আরও ২ দিন
- লাফিয়ে কমে গেলো সয়াবিন তেলের দাম
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
- বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঈদের ছুটি বাড়ল
- তিন সন্তানের প্রাণ নেওয়ার পর স্বামীকে নিয়ে সেহেরি খেলেন মা
- বেঙ্গালুরু বিপক্ষে হারের পর মুস্তাফিজকে নিয়ে যা বললেন কলকাতার অধিনায়ক রাহানে
- ভারতে মারা গেছেন ওবায়দুল কাদের; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- আবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের কড়া বার্তা