চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী এক সন্তানের জননী

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের গুরুদাসপুরের এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যে বয়সে তার স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সেই এক সন্তানের জননী হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়েই তিনি জাহেদুর খা নামক এক লোকের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এই ঘটনায় জাহেদুর খার বিরুদ্ধে মামলা করেও এখনও কোনো বিচার পাননি তিনি।
মামলা দায়ের করার পর থেকেই সামাজিকভাবে অবহেলার শিকার হন ওই ছাত্রীর পরিবার, এবং তাকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেওয়া হয়। নিজের সন্তানের খরচ এবং নানা কারণে তার জীবন দুঃসহ হয়ে ওঠে। দুটি বছর পেছনে ফেলে, তার শৈশব, কিশোরত্ব প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, আর লেখাপড়া তো একেবারে থেমে গেছে।
তিনি জানান, দুই বছর আগে তিনি যখন স্কুলে ফিরছিলেন, তখন তাকে জোর করে ঘরে নিয়ে যায় জাহেদুর খা, এবং ভীতির কারণে তিনি কাউকে কিছু বলেননি। তবে কয়েক মাস পর তার পেটে ব্যথা অনুভব হলে, তিনি তার দাদিকে বিষয়টি জানান। তারপর চিকিৎসকরা তাকে জানায় যে তিনি গর্ভবতী। পরবর্তীতে, দাদির সাহায্যে তিনি হাসপাতাল গিয়ে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কোনো সুবিচার মেলেনি। কিশোরী এখন একটি দেড় বছর বয়সী ফুটফুটে কন্যা সন্তান নিয়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতা মোকাবিলা করছে। তার বাবা একসময় অন্য একটি বিয়ে করেছেন, এবং সে ছোট থেকেই তার দাদীর কাছে লালিত-পালিত হচ্ছিল। কিন্তু জীবনে এক অন্ধকার অধ্যায় শুরু হয় যখন জাহেদুর খা তাকে নির্যাতন করে।
এই ঘটনায়, কিশোরীর দাদি ২০২৩ সালের ১৮ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জাহেদুর খার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সময় নেয়, এবং শেষে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। ছয় মাস পরে জামিনে মুক্ত হয়ে, বর্তমানে কিশোরী ও তার দাদীকে হুমকি দিচ্ছেন মামলাটি তুলে নিতে।
কিশোরী জানায়, দুই বছর আগে যখন সে মাঠে কাজ করছিল, তখন জোর করে তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে পেটে আঘাত করা হয় এবং এরপর সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় তারা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও সঠিক বিচার এখনও হয়নি।
তারপর কিশোরীর পরিবার অভিযোগ করেছে যে অভিযুক্তের স্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন এবং মিথ্যা কথা বলার জন্য মামলা তুলে নেয়ার চেষ্টা করছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন এবং সমাজসেবা বিভাগ কিশোরী ও তার শিশুর স্বাস্থ্য এবং আর্থিক সহায়তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে।
এই ঘটনায়, সমাজবিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছেন যে শিশুদের সুরক্ষায় অভিভাবকদের নজরদারি বাড়ানো উচিত। এমন ধরনের নির্যাতন এবং অবিচার কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!