| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

শবে কদরের নামাজ পড়ার পদ্ধতি

২০২৫ মার্চ ২৩ ১৫:২৬:১৩
শবে কদরের নামাজ পড়ার পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শবে কদর হল অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ রাত। "শবে কদর" ফার্সি শব্দ, যেখানে 'শব' অর্থ রাত এবং 'কদর' অর্থ সম্মান, মর্যাদা। আরবি ভাষায় এটি "লাইলাতুল কদর" নামে পরিচিত, যেখানে 'লাইলাতুন' অর্থ রাত এবং 'কদর' শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা। এটি অন্য এক অর্থে ভাগ্য, পরিমাণ এবং তকদির নির্ধারণের প্রতীকও।

শবে কদরের রাতে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সারা রাত নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, হাদিসের আলোকে জিকির, কবর জিয়ারত এবং নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

তবে, রমজান মাসের কোন রাতটি শবে কদর তা কোরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। তবে কিছু নিদর্শন রয়েছে যা দ্বারা শবে কদরের রাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছেন।

নামাজের নিয়ত (আরবিতে)

নামাজের নিয়ত আরবিতে বলা আবশ্যক নয়, তবে যদি বলা হয় তাহলে তা হবে:

‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআ'তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।’

অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করছি, আল্লাহু আকবার।

শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম

শবে কদরের রাতে বিশেষ কোন নামাজের নিয়ম বা পদ্ধতি নেই। দুই রাকাত করে নফল নামাজ যত মনোযোগ সহকারে এবং সুন্দরভাবে পড়া যায়, ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি নামাজ পড়তে পারেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া, ইস্তেগফার এবং তওবা করা উচিত।

বিশেষ কিছু সুরা পড়ার কথা লোকমুখে প্রচলিত আছে, তবে এর কোনো নির্দিষ্ট ভিত্তি নেই। তবে চাইলে সুরা কদর এবং সুরা ইখলাস বেশি বেশি পড়া যেতে পারে।

এই রাতে যে দোয়া বেশি পড়বেন

রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতে শবে কদর হতে পারে, তাই প্রতিটি বেজোড় রাতে ইবাদত করা উচিত। এই রাতে হাদিসে বর্ণিত একটি বিশেষ দোয়া পড়া উচিত।

উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "হে আল্লাহর রসুল, আমি যদি জানতাম কোন রাতটি শবে কদর, তাহলে কোন দোয়া পড়তাম?" তখন তিনি বলেন, তুমি বলো:

اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي

অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব এবং ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

৩৩৪৯ দিন পর অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়লেন রিশাদ

৩৩৪৯ দিন পর অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়লেন রিশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এ অভিষেকেই আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের উদীয়মান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে লুইস ফিগো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের আবির্ভাব শুধু মাঠেই নয়, এর ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...