রমজানের শেষ ১০ দিনে যেসব আমল করলে আল্লাহ খুশি হন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাস বিদায় নেয়ার পথে, গুনাহ মাফ এবং তাকওয়া অর্জনের এই মহিমান্বিত সময়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটি মাস, যেখানে আল্লাহর রহমত, মাগফেরাত এবং মুক্তির দ্বার উন্মুক্ত থাকে। বিশেষত রমজানের শেষ দশক, যাকে আমরা "তাহাজ্জুদ" বা "লাইলাতুল কদর" এর রাতের সন্ধান পাওয়ার বিশেষ সময় হিসেবে জানি, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
রাসুল (সা.) এই সময়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন, এবং শেষ দশকে তার আমল অনেক বেড়ে যেত। আয়েশা (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, "রমজানের শেষ দশকে রাসুল (সা.) তার লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাতে জেগে থাকতেন, তার পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৯৭)
রমজানের শেষ দশকে একটি বিশেষ রাত রয়েছে, যাকে "লাইলাতুল কদর" বা "শক্তি ও সম্মানের রাত" বলা হয়। এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই আমি (পবিত্র কুরআন) লাইলাতুল কদরে নাযিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক উত্তম। এই রাতে ফেরেশতারা তাদের রবের অনুমতিক্রমে প্রত্যেক কাজে অবতীর্ণ হন, এবং তা শান্তিতে পূর্ণ থাকে, ফজর পর্যন্ত।" (সুরা কদর, আয়াত: ১-৫)
রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর যেকোনো একটি রাত লাইলাতুল কদর হতে পারে। বহু হাদিসে এবং আলেমদের মতে, রমজানের ২৭তম তারিখ রাতে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, যা মূলত ২৬তম রোজার রাত। তাই এই বিশেষ রাতে অধিক পরিমাণে ইবাদত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করাও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর পাওয়ার সম্ভাবনা আরো বেশি হয়। আয়েশা (রা.) বলেন, "রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, 'তোমরা শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।'" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৯৩)
ইতিকাফকারী ব্যক্তি গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন এবং নেককারদের সব নেকী তার জন্য লেখা হয়। (ইবনু মাজাহ, হাদিস: ১৭৮১)
রমজানের শেষ দশকে ফিতরা প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাদের ওপর জাকাত ফরজ হয়েছে, তাদের তা আদায় করা উচিত, এবং অন্যদেরও যতটুকু সম্ভব দান-সদকা করা উচিত।
এছাড়া, সাদকাতুল ফিতর রোজাকে পবিত্র করার জন্য এবং মিস্কিনদের খাদ্য সাহায্য পৌঁছানোর জন্য ফরজ করা হয়েছে। ইবনু উমর (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, "রাসুলুল্লাহ (সা.) সাদকাতুল ফিতর ফরজ করেছেন, তা খেজুর বা যব দিয়ে এক সা' পরিমাণ হতে হবে, এবং ঈদের সালাতে যাওয়ার আগে তা আদায় করতে হবে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৫০৩)
ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, "রাসুলুল্লাহ (সা.) সাদকাতুল ফিতর রোজাকে অশ্লীলতা ও বেহুদা কথাবার্তা থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিস্কিনদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি এটি ঈদের নামাজের পরে পরিশোধ করে, তা সাধারণ দান হিসেবে গণ্য হয়।" (আবূ দাউদ, হাদিস: ১৬০৯)
রমজানের শেষ দশক অতিবাহিত হচ্ছে, এবং এই সময়টি আল্লাহর নিকট আরো বেশি নিকট হতে এবং গুনাহ মাফ করার এক মহান সুযোগ। এই সময়ে ইবাদত বাড়িয়ে, ফিতরা দান ও ইতিকাফের মাধ্যমে আমাদের আত্মিক উন্নতি সাধন করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের বরকত লাভ করতে সাহায্য করুন।
রানা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- হঠাৎ ফেসবুকে খুশির বার্তা দিলেন মাশরাফি
- ১৪ জন কারা হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ফেরাতে চাইছে বাংলাদেশে
- দিল্লি ছেড়ে কোথায় শেখ হাসিনা, নতুন ঠিকানা ফাঁস
- ব্রেকিং নিউজ; বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
- জামিন না পেয়ে আদালতে যা করলেন ডা. দীপু মনি
- ঢাকার অবস্থা আজ খুবই বিপর্যস্ত
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাড়ছে আরও ২ দিন
- বাবা দোষ করলে বিচার চান হিটু শেখের মেয়ে 'আমার দাদি কেন গাছ তলায়
- লাফিয়ে কমে গেলো সয়াবিন তেলের দাম
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
- বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঈদের ছুটি বাড়ল
- জ্ঞান ফিরেই যা বললেন তামিম
- তিন সন্তানের প্রাণ নেওয়ার পর স্বামীকে নিয়ে সেহেরি খেলেন মা
- বেঙ্গালুরু বিপক্ষে হারের পর মুস্তাফিজকে নিয়ে যা বললেন কলকাতার অধিনায়ক রাহানে
- ভারতে মারা গেছেন ওবায়দুল কাদের; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল