নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আবারও দেশজুড়ে বিক্ষোভ এবং মিছিলের আয়োজন করছে ছাত্রজনতা। এদিকে, দলটি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলমান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। তবে, এবার কি সত্যিই নিষিদ্ধ হবে আওয়ামী লীগ? বিস্তারিত প্রতিবেদন আরিফ হাসানের।
বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল, আওয়ামী লীগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তবে, সেই দলটির নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া জনগণ ২০২৪ সালে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করে এবং দেশের বাইরে চলে যেতে বাধ্য করেছে দলটির নেতাকর্মীদের।
প্রধানত ২৪শে জুলাই, অভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগ ছাত্রজনতার ওপর নিষ্ঠুর আচরণ প্রদর্শন করে। দলটি প্রশাসনকে পুরোপুরি দলীয়করণের রূপ দেয় এবং দেশের সাধারণ জনগণ—শিশু, স্কুলছাত্র, দিনমজুরসহ—সকলকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ১৪০০’রও বেশি ছিল, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দলটি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। ছাত্রজনতা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা আন্দোলন করে, তাদের দাবি ছিল আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা। তাদের চাপের মুখে ছাত্রলীগকে অক্টোবরে নিষিদ্ধ করা হয়।
এদিকে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সেখানে “গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ” মঞ্চ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্ল্যাটফর্মটি জানায় যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেছেন যে, কিছু মহল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেছেন, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি এটি একটি নতুন ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যার নাম দিয়েছেন 'রিফাইন আওয়ামী লীগ'।
হাসনাত আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে হলে ছাত্রজনতার লাশের উপর দিয়েই তা করতে হবে। তার এমন পোস্টের পর, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি আরও জোরালো হয়েছে দেশজুড়ে। তবে, সরকার কি সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদি আওয়ামী লীগকে নিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন হয়, তাহলে রক্তের নদী বয়ে যেতে পারে, এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা।
তাদের বক্তব্য স্পষ্ট: "আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আমাদের লড়াই উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে, এবং আমাদের লড়াই জায়নবাদের বিরুদ্ধে।"
— আরিফ হাসান/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- হঠাৎ ফেসবুকে খুশির বার্তা দিলেন মাশরাফি
- ১৪ জন কারা হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ফেরাতে চাইছে বাংলাদেশে
- ব্রেকিং নিউজ; বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
- জামিন না পেয়ে আদালতে যা করলেন ডা. দীপু মনি
- ঢাকার অবস্থা আজ খুবই বিপর্যস্ত
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাড়ছে আরও ২ দিন
- বাবা দোষ করলে বিচার চান হিটু শেখের মেয়ে 'আমার দাদি কেন গাছ তলায়
- লাফিয়ে কমে গেলো সয়াবিন তেলের দাম
- বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঈদের ছুটি বাড়ল
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
- তিন সন্তানের প্রাণ নেওয়ার পর স্বামীকে নিয়ে সেহেরি খেলেন মা
- ভারতে মারা গেছেন ওবায়দুল কাদের; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- নাম-পরিচয় বিসর্জনে ভারতে বেওয়ারিশ আ.লীগের নেতাকর্মীরা
- দিনের বেলায় বাড়ির উঠান থেকে শিশুকে নিয়ে গেল শিয়াল
- নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ