ড. ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্ত: ভারতের পথ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: যতই আড়ালে সতর্কতা দেওয়া হোক না কেন, ভারতের যে বার্তাগুলো বাংলাদেশ গুরুত্ব দেয় না, তা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল। অন্তর্বর্তী সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে এটি পুনরায় প্রমাণিত হলো। ভারতের সঙ্গে কোনো বিষয়ে আর বিন্দু পরিমাণ ছাড় না দেওয়ার পদক্ষেপের মধ্যে যোগ হলো একটি নতুন সিদ্ধান্ত।
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময়সীমায় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ সরকার। এতদিন ধরে অভিযোগ ছিল যে, বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতীয় জেলেরা দেশের জলসীমা থেকে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যেত। এবার তাদের সেই সুবিধা বন্ধ হয়ে গেল।
মাছের বংশবিস্তার এবং টেকসই মাছ আহরণের জন্য বাংলাদেশ এবং ভারত দুটি নির্দিষ্ট সময়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছিল। তবে, এবার ভারতীয়দের সুবিধা বন্ধ করে দিয়ে, বাংলাদেশ সরকার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে, গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ছিল প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত, অর্থাৎ মোট ৬৫ দিন। অন্যদিকে, ভারতের জলসীমায় জেলেরা ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৬১ দিন নিষেধাজ্ঞা পালন করতেন। দুই দেশের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমার এই পার্থক্যের কারণে জুন-জুলাই মাসে বাংলাদেশী জেলেরা এক মাসের বেশি সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতেন। আর এই সময়টাতে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যেত। এতে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ব্যাহত হতো এবং কয়েক লাখ মৎস্যজীবী পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
নতুন এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার থেকে প্রতিবছর ভারতের মতো একই সময়ে, অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। সময়সীমা কমিয়ে আনার পাশাপাশি, ভারতের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে মিলিয়ে একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে মৎস্য গবেষক, মৎস্যজীবী সংগঠন, ট্রলার মালিক এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তারা আশা করছেন, এই নতুন পদক্ষেপ সমুদ্র মৎস্য খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
বাংলাদেশের মৎস্য গবেষক, জেলে এবং ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে মিলিয়ে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমায় পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তারা বলেছিলেন, বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভারতে অধিক লাভ হচ্ছে, যার কারণে বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ হুমকির মুখে পড়ছে। ফলে, নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও কাঙ্খিত মাছের দেখা মিলত না।
এখন, এই নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে, বাংলাদেশের মৎস্য খাতে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে।
রানি/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- হঠাৎ ফেসবুকে খুশির বার্তা দিলেন মাশরাফি
- ১৪ জন কারা হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ফেরাতে চাইছে বাংলাদেশে
- ব্রেকিং নিউজ; বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
- জামিন না পেয়ে আদালতে যা করলেন ডা. দীপু মনি
- ঢাকার অবস্থা আজ খুবই বিপর্যস্ত
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাড়ছে আরও ২ দিন
- বাবা দোষ করলে বিচার চান হিটু শেখের মেয়ে 'আমার দাদি কেন গাছ তলায়
- লাফিয়ে কমে গেলো সয়াবিন তেলের দাম
- বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঈদের ছুটি বাড়ল
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
- তিন সন্তানের প্রাণ নেওয়ার পর স্বামীকে নিয়ে সেহেরি খেলেন মা
- ভারতে মারা গেছেন ওবায়দুল কাদের; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- নাম-পরিচয় বিসর্জনে ভারতে বেওয়ারিশ আ.লীগের নেতাকর্মীরা
- দিনের বেলায় বাড়ির উঠান থেকে শিশুকে নিয়ে গেল শিয়াল
- বেঙ্গালুরু বিপক্ষে হারের পর মুস্তাফিজকে নিয়ে যা বললেন কলকাতার অধিনায়ক রাহানে