| ঢাকা, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

বাংলাদেশের ফোনকল মনিটরিংয়ে ভারতীয় গোয়েন্দার কতটা প্রভাব ছিল

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ মার্চ ২০ ২২:১৩:৪৫
বাংলাদেশের ফোনকল মনিটরিংয়ে ভারতীয় গোয়েন্দার কতটা প্রভাব ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে অনেক সময় ছলে বলে কৌশল অবলম্বন করেছে, এবং এতে ভারতকে সহযোগিতা নিতে হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রয়ের সাহায্যে তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলতে চেয়েছিল। ভারতীয় গোয়েন্দাদের জন্য বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর মাধ্যমে ফোন নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, এবং তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিডিয়া আউটলুক তাদের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরও বাংলাদেশ সরকারের এসসেভেন মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে ভারতীয় গোয়েন্দাদের লিঙ্ক স্থাপন করার প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রথমে ঢাকায় স্টেশন প্রধানের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে সাবেক প্রধান নির্বাচন প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেন।

এসসেভেন সিস্টেমের মাধ্যমে ভারতের গোয়েন্দারা বাংলাদেশে যেকোনো ভয়েস কলের ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারত। এটি ভারতে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের ভয়েস কলের তথ্য সংগ্রহের সুযোগ তৈরি করতো। তবে ভারতীয় গোয়েন্দারা পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো লিঙ্ক না থাকার কারণে এই সিস্টেমটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল এবং এর মাধ্যমে তারা গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর, কলের সময়, অবস্থান ও অন্যান্য মেটাডেটা সংগ্রহ করতে পারতো।

এছাড়া, ভারত একটি সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল, যা বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে ভয়েস কল ও ডেটা সংগ্রহ করতে সক্ষম হতো। এর মাধ্যমে ভারতীয় গোয়েন্দারা বাংলাদেশে যে কোনো ইনকামিং ও আউটগোয়িং ভয়েস কল এবং ডেটা সংগ্রহ করতে পারত।

এ বিষয়ে ডিজিএফআই-এর কর্মকর্তারা একত্রিত হয়ে এই প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন এবং জানিয়ে দেন যে, এটি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ডিজিএফআই-এর কর্মকর্তারা ভারতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, অনেক কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয় এবং কিছু কর্মকর্তাকে কম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে বদলি করা হয়।

এছাড়া, শেখ হাসিনার শাসনকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ডিজিএফআই-র পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং এটি সমালোচিত হয় বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

৮টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান

৮টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী মে মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তানে এবং জুলাইয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ঢাকায় সিরিজ ...

তামিমের ব্যাপারে খারাপ খবর ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে ছিলেন আকরাম খান

তামিমের ব্যাপারে খারাপ খবর ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে ছিলেন আকরাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের আকস্মিক অসুস্থতার ঘটনা সারা দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি ...

ফুটবল

সবার আগে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা, অনিশ্চিত ব্রাজিল

সবার আগে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা, অনিশ্চিত ব্রাজিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুয়েনস আয়ার্সের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা এক চমৎকার ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...