২০১৪ সালের রাতের ভোট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক; বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৪ সালের নির্বাচন বেশ কিছু কারণে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সালের নির্বাচন এবং তার পরবর্তী সহিংসতা বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচারের পথ আরও সুগম করে। ২০১৪ সালের সেই নির্বাচনের বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ইমতিয়াজ আলম।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া দাবি করেছেন, ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ছয় মাসের মধ্যে আরেকটি নির্বাচনের সমঝোতা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি, এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাপ্রধান হিসেবে তার ভূমিকা কী হওয়া উচিত ছিল, সে বিষয়টি কিছু ব্যক্তি তাদের অবাস্তব আকাঙ্ক্ষা থেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তাই তিনি তার ভূমিকা সম্পর্কে কিছু কথা বলতে প্রয়োজনীয় মনে করেছেন।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নিয়োগে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেছিল। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুরো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এর ফলে, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ দলের সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেটি বিএনপি বর্জন করে, ফলে আওয়ামী লীগকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় আসার সুযোগ মেলে।
সাবেক সেনাপ্রধানের ভাষায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। প্রথমটি প্রকাশ্য, যেখানে ১৫৪টি আসন আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নেয়। দ্বিতীয়টি গোপন, যেখানে কিছু পশ্চিমা দূতাবাসের চাপের ফলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়, যার মাধ্যমে ছয় মাসের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। তবে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি।
সাবেক সেনাপ্রধান লিখেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন পরিচালনা বা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হয়নি। এরপরও, বিএনপি আওয়ামী লীগকে সহায়তা করার অভিযোগে সেনাপ্রধানকে দায়ী করে, যদিও কিভাবে সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছিল, তার কোনো প্রমাণ বিএনপি কখনোই দিতে পারেনি।
পোস্টের শেষাংশে ইকবাল করিম ভূঁইয়া লিখেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ ও তার সহযোগীরা ২০০৭ সালে যেভাবে কাজ করেছিলেন, একজন পেশাদার সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তেমন কিছু তিনি করতে রাজি ছিলেন না। তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর নয় এবং নির্বাচনসহ অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী কখনোই জড়িত হওয়া উচিত নয়।
আলম/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- মাগুরার আছিয়ার বোনের মুখ থেকে সত্যিটা শোনেন (ভিডিওসহ)
- তিনজন ধ/র্ষণ করলো আছিয়ার বোনের ঘুম ভাঙেনি কেন
- মাগুরার সেই শিশুর ডিএনএ রিপোর্ট থেকে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন হার
- যশোরে বিমান বিধ্বস্ত
- আছিয়ার মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার মা (ভিডিওসহ)
- আছিয়ার ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারে আসামীদের ভয়াবহ লোমহর্ষক বর্ণনা
- মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধ"র্ষণ হইছে যে ঘরে (ভিডিওসহ)
- সেই রাতে শাশুড়ি আমার খাবারে ঘুমের ওষুধ দিছিল; আছিয়ার বোন
- হাসিনার বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের বিস্ফোরণ মন্তব্য; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- শিশু আছিয়ার ধ/র্ষকের প্রধান আসামী হিটু শেখকে নিয়ে উঠে এলো লোমহর্ষক তথ্য
- আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বিশাল বড় সুখবর
- হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট: সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল