মাগুরার সেই শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি, যা বলছে চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা আবারও সংকটাপন্ন মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির শারীরিক অবস্থা আবারও অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
শিশুটির মামাতো ভাই জানান, চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন যে শিশুটির অবস্থা ভালো নেই।
মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক বলেন, সোমবার (১০ মার্চ) শিশুটির সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও আজ তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও জানান, ধর্ষণের পর তাকে ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, যার ফলে শিশুটির মস্তিষ্কে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ ছিল। ঘটনার পরপরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি, বরং ১১ ঘণ্টা পর হাসপাতালে আনা হয়, যা তার মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আবারও ৩-এ নেমে এসেছে, যা মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা নির্দেশ করে। অথচ স্বাভাবিক মাত্রা ১৫ হওয়া উচিত। আগের দিন তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়ে ৫ পর্যন্ত উঠেছিল, কিন্তু আজ আবারও সংকটাপন্ন অবস্থায় ফিরে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয় শিশুটি। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট) ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
বর্তমানে শিশুটি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যেখানে সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজিস্ট, অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ, শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, ইউরোলজিস্ট ও থোরাসিক সার্জন রয়েছেন।
শিশুটির মা শনিবার (৮ মার্চ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় ভুক্তভোগীর বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (৯ মার্চ) মধ্যরাতে মাগুরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মতিন আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেন। আদালত মূল অভিযুক্ত বোনের শ্বশুরকে ৭ দিন, এবং স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুরকে ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ধরনের পাশবিক ঘটনা প্রতিরোধে সমাজের সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবার ও প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে এমন অপরাধের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন জঘন্য অপরাধ করার সাহস না পায়।
রনি/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!