| ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

আরাকানে কি হচ্ছে বাংলাদেশও কি যুদ্ধে জড়াবে

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ মার্চ ১১ ২২:৩৫:০৩
আরাকানে কি হচ্ছে বাংলাদেশও কি যুদ্ধে জড়াবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আরাকান আর্মি বর্তমানে বাংলাদেশের পাশেই মিয়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য দখল করে রেখেছে। এটি শুধু মিয়ানমারের জন্যই নয়, বরং আঞ্চলিক ভূরাজনীতির জন্যও বড় ধরনের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে। বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পশ্চিমা দেশগুলোর সাহায্য দেওয়া নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের তথ্য আগেই উঠে এসেছে। এ ছাড়াও, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং ভারতের কিছু অংশ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে, যা পশ্চিমা শক্তির ষড়যন্ত্র বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

মিয়ানমারের এই পরিস্থিতি এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সেখানে চীনের স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্তের ওপারে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি এবং বঙ্গোপসাগরের কাছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারানো, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় একটি প্রশ্ন তৈরি করেছে।

এদিকে, আরাকান আর্মি এখনও একটি নতুন রাষ্ট্র ঘোষণা না করলেও, তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, আরাকান আর্মি কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এখনও তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত গুরুত্ব ও রাখাইনের অবস্থান বাংলাদেশের, ভারতের এবং চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাখাইন অঞ্চলের জলপথ মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য রুটের সঙ্গে যুক্ত, যা ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই সীমান্ত অঞ্চলটি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এখানে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড ও অপহরণসহ নানা অনিয়ম নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

চীনও বঙ্গোপসাগরে কৌশলগত উপস্থিতি বাড়াতে রাখাইনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে, কারণ এখানে চীনের গ্যাস পাইপলাইন এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্প রয়েছে। তবে, এসব অঞ্চলে আরাকান আর্মির তৎপরতা চীনের জন্য বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। তাদের কর্মকাণ্ডের ফলে, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের সেভেন সিস্টার্স অঞ্চল ও চীনের সীমান্তে অশান্তি তৈরি হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে সহায়তার জন্য চীন তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছে, আর রাশিয়া আঞ্চলিক উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে, আরাকান আর্মির কর্মকাণ্ডের দিকে মার্কিন প্রশাসন যে তেমন কোনো মন্তব্য করছে না, তা অনেকেই একটি বড় পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতে পারে না।

অতএব, আরাকান আর্মির উত্থান এবং তাদের কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ, ভারত এবং চীন, এই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করছে, এবং সম্ভবত পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।

রনি/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ

হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় হার। তবে সেই হারই শেষ কথা হয়ে দাঁড়ায়নি ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে লুইস ফিগো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের আবির্ভাব শুধু মাঠেই নয়, এর ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...