হঠাৎ ভারত কেন বাংলাদেশে এত গণতন্ত্র চায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: হঠাৎ করেই ভারত কেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে এত চিন্তা করছে? এই প্রশ্নটি আজকাল খুবই প্রচলিত। এক সময় যেখানে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ, সেখানে আজকের দিনে ভারতের উদ্বেগ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতের প্রতি গভীর আনুগত্য দেখিয়েছিলেন। ভারতীয়দের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি কখনোই কোনো সমঝোতার কমতি রাখেননি। হাসিনার আমলে বাংলাদেশে ভারতীয়দের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ছিল সর্বত্র। হাসিনা সবসময়ই ভারতের জন্য উৎসাহিত ছিলেন, দেশের প্রতিটি মানুষকে ভারতীয়দের জন্য গ্রহণযোগ্য করে তুলতে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। হাসিনা দেশের আকাশ, বাতাস, নদী এবং ইলিশ মাছ, আম, সবকিছুকে ভারতের সঙ্গে একাত্ম করতেই নিজের কর্তব্য মনে করতেন।
তবে হাসিনার শাসনে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত এবং বেশ কিছু খাতে ভারতের প্রভাব প্রবল হয়ে উঠেছিল। একে একে ভারতের প্রিয় ব্যবসায়ী আদানি থেকে চড়া দামে বিদ্যুৎ কেনা, ভারতের কাছ থেকে বিভিন্ন উপঢৌকন গ্রহণ, সবই হাসিনার সরকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। হাসিনা যখনই নির্বাচনের কথা চিন্তা করতেন, তখনই ভারতের সায় থাকতো। বিশেষত ২০১৪, ২০১৮, কিংবা ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো ছিল ভারতের পুরোপুরি স্বীকৃত। হাসিনার আমলে, রাতের ভোট, মৃত ভোটারদের ভোট দেওয়ার মতো কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক ঘটনা, কিন্তু ভারত এতে কখনও কোনো সমস্যা দেখেনি। বরং ভারত এইসব নির্বাচনকে বৈধতার স্বীকৃতি দিতো এবং এসব বিষয়ে তাদের কোনো বিরোধী মতামত ছিল না।
কিন্তু হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারতীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশে কী হবে, আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে, এসব প্রশ্ন নিয়ে ভারতের মাঝে এখন প্রচুর উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে। ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত কখনোই চিন্তা করেনি, কিন্তু এখন যখন দেশটি কঠিন সময় পার করছে, তখন ভারতীয় সরকারের মনোভাব পুরোপুরি বদলে গেছে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জয়সওয়াল পর্যন্ত বলছেন, "উদ্বেগ," অর্থাৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা মন্তব্য করার আগেই তাদের মুখে একটি শব্দ উঠে আসে— "উদ্বেগ।" গত কয়েক মাসে ভারতের অবস্থান সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে গেছে এবং তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে নতুন করে মতামত দিতে শুরু করেছে।
এমনকি ২০১৪ সালে, যখন জাতীয় পার্টি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখনও ভারত সরাসরি হস্তক্ষেপ করে এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল। ২০১৮ সালে ভারত আবারও হাসিনাকে সমর্থন করেছিল এবং এভাবেই ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভারতের অনুমোদন ছিল হাসিনার পক্ষে। তবে এখন ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
আজ, হাসিনার পতনের পর, ভারত একটি নতুন রোডম্যাপ তৈরি করে বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরছে। দিন দিন, তারা একে একে বিভিন্ন ভাষায় নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশের সাহায্য চাইলেন নগ্ন তরুণী
- টাকা নেওয়া যৌনকর্মী কি দাসীর মত হালাল হবে
- পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বড় ভূখন্ড পেল বাংলাদেশ, ভারতের কপাল পুড়ল
- ট্রান্সশিপমেন্ট কান্ডে মুখোমুখি দুই দেশ বাংলাদেশের পাল্টা চালে বিপদে ভারত
- স্বপ্নের দেশে জামাতে নামাজ আদায় নিষিদ্ধ হল
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- মা-মেয়ে এক সংসারে স্বামীকে নিয়ে থাকছেন একই ঘরে
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- শ্বাসরুদ্ধকর ১৮ ঘন্টা পর হঠাৎ কেন বদলে গেলেন ট্রাম্প
- সরকারি কর্মকর্তারা আবার পাচ্ছেন টানা ৪ দিনের ছুটির সুযোগ