রমজানে যে চার আমল করলে আল্লাহ খুশি হয়

রমজান হলো আমল এবং ইবাদতের মাস। বছরের অন্য কোনো সময়ের তুলনায় রমজান মাসে মুসলমানরা বেশি ইবাদত করে থাকেন। যারা সাধারণত অন্য মাসে নামাজ পড়েন না, তাদেরও রমজান মাসে নামাজে আগ্রহ দেখা যায়। মসজিদগুলোতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ বেড়ে যায়, এবং রমজানের প্রথম দিকে মসজিদগুলোতে ভিড় উপচে পড়তে দেখা যায়। যদিও পরবর্তীতে মসজিদে আগ্রহ কিছুটা কমে যায়, তবুও এটি রমজান মাসের অন্যতম চিত্র। নবীজি (সা.)-এর সাহাবি, পূর্ববর্তী এবং বর্তমান আলেমরা রমজানে অধিক পরিমাণে আমল করেন।
কোরআন তিলাওয়াত
রমজান হলো কোরআন নাজিলের মাস, আর আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য কোরআন নাজিল করেছেন। রাসূল (সা.) সাহাবিদের কোরআনের বিধান প্রদান করেছেন এবং তিলাওয়াত করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। রমজান মাসে তিনি নিজে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতেন। তাই মুসলমানদের উচিত এই মাসে কোরআন তিলাওয়াত করা, অন্তত এক পৃষ্ঠা বা কিছু সময় হলেও কোরআন পাঠ করা।
ফাতেমা (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, ‘‘প্রতি রমজানে, রাসূল (সা.) জিবরাইল (আ.)-কে একবার কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। তবে তাঁর মৃত্যুর বছর তিনি তাকে দু'বার কোরআন শোনান।’’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬২৮৫)
দান ও সদকা
কোরআন তিলাওয়াতের পর রমজানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো দান ও সদকা। যদিও দান ও সদকা সারা বছরই করা উচিত, তবে রমজানে এর ফজিলত অনেক বেড়ে যায়। কারণ, রমজানে যে কোনো আমলের প্রতিদান অনেক বেশি থাকে।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর বর্ণনায় বলা হয়েছে, ‘‘রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সবচেয়ে বেশি দানশীল। তিনি রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি দান করতেন, বিশেষত যখন জিবরাইল (আ.)-এর সাথে সাক্ষাৎ হতো। তখন তিনি এমন দানশীল হয়ে উঠতেন, যা বাতাসের থেকেও বেশি।’’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮০৩)
ইস্তেগফার পাঠ
ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা আল্লাহ তায়ালার কাছে গুনাহ মাফ করার অন্যতম মাধ্যম। রমজানে ইস্তেগফার বেশি বেশি পাঠ করা উচিত। মানুষ শয়তানের ধোঁকা, নফসের প্ররোচনা এবং পরিবেশের কারণে অনেক সময় গুনাহে জড়িয়ে পড়ে, আর এই গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার সেরা উপায় হলো ইস্তেগফার।
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘‘আমি তাদেরকে বলেছি, ‘নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল।’’’ (সূরা নুহ, আয়াত : ১০)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘‘রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তেগফার করে, আল্লাহ তায়ালা তার সব সংকট থেকে মুক্তি দেন, তার সমস্ত পেরেশানি দূর করে দেন এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।’’’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৮)
জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া
রমজান মাসে মানুষ নেক আমল বেশি বেশি করে, এবং আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়া কবুল করেন। রমজানে সবচেয়ে বড় প্রার্থনা হলো আল্লাহ তায়ালার কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া। আমাদের দুনিয়াবী অনেক প্রয়োজন থাকতে পারে, তবে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করা। যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, তার আর কোনো দুশ্চিন্তা থাকবে না। তাই রমজানে আল্লাহ তায়ালার কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রার্থনা করা উচিত।
এছাড়া, রমজান মাসে অধিক আমল এবং দোয়া-দরুদ পাঠ করা আমাদের আত্মার পরিশুদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- অবশেষে ৫ বছর পর আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে সুখবর
- বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবেন সাকিব
- ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যু: আসল সত্যতা প্রকাশ
- ভারতীয়দের জন্য কানাডায় ভিসা বন্ধ ঘোষণা
- সেনাপ্রধানের বক্তব্যে নিয়ে কড়া বার্তা পাঠাল ভারত-পাকিস্তান
- বাংলাদেশিদের ২৪ ঘণ্টায় ফি ছাড়া ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
- বেড়ে গেল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- কমে গেল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- ইতালির ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে এলো সুখবর, আগামী মাস থেকে আবেদন শুরু
- ৭ দিন পর বাড়ল মালয়েশিয়ান রিংগিতের বিনিময় দাম
- বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে! আইন কি বলে
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়ল
- আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট (০১ মার্চ)