| ঢাকা, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

সোহাগ আহমদে

সিনিয়র রিপোর্টার

বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর নতুন ষড়যন্ত্র

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ মার্চ ০২ ২১:৪৮:২৯
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর নতুন ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক ; ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং) বাংলাদেশে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন শাহ। ২৭ ফেব্রুয়ারি তার নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন।

এতে তিনি জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশে নতুন নামে এবং নতুন পরিচয়ে প্রবেশ করা কয়েকজন ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাজ করে আসছে এবং এই উদ্দেশ্যে তারা আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করেছে, এমন অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। এমনকি অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক রয়েছে।

জুলকারনাইন আরও দাবি করেন, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তিনি র এর দুই উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানান, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর দুই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা—অশোক কুমার সিনহা এবং কঞ্জক তাসিক খাম্পা—৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ঢাকায় পৌঁছান। তাদের ঢাকায় আগমনের ব্যবস্থা করেছিল ভারতীয় হাইকমিশন।

তিনি আরও বলেন, "এই কর্মকর্তারা ৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI 227-এ ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাদের গ্রহণ করতে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা।" এই কর্মকর্তারা মূলত ভারতের আইপিএস (Indian Police Service) থেকে ২০০৭ সালে অশোক এবং ২০১৩ সালে কঞ্জককে 'র'-এ ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশে তাদের আসার কারণ ছিল, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে সম্পর্ক গঠন।

জুলকারনাইন আরও দাবি করেন, বাংলাদেশে আসার পর, 'র'-এর কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনায় পূর্ণ সহযোগিতা পায়নি। বিশেষত, এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স) এবং ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্স ইনটেলিজেন্স) থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয় যে, রুটিন সম্পর্কের বাইরে কোনো বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েন, এবং তারা হোটেলের কর্মীদের সাথে অবিবেচনাপূর্ণ আচরণ করতে শুরু করেন।

এছাড়া, জুলকারনাইন শাহ দাবি করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল হয়ে গেছে, এবং এর পেছনে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া, সীমান্ত উত্তেজনা এবং অন্যান্য ইস্যুগুলোর প্রভাব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নতুন ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য কী? নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কি 'র'?

এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন শাহ তার মন্তব্য শেষ করেন।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে যা ভাবছে বিসিবি

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে যা ভাবছে বিসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর সমালোচনার মুখে পড়েছে। ...

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তিশালী একাদশ

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তিশালী একাদশ

বাংলাদেশের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দুটি ম্যাচ ছিল হতাশাজনক। ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর ...

ফুটবল

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার শক্তিশালী দল ঘোষণা

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার শক্তিশালী দল ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল চলতি মাসেই দুটি বড় বাছাই ম্যাচের জন্য মাঠে নামতে ...

হামজাকে নিয়ে ভারতের বিপক্ষে শক্তিশালী দল ঘোষণা

হামজাকে নিয়ে ভারতের বিপক্ষে শক্তিশালী দল ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ফুটবল দল ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে আগামী শুক্রবার ...