লোক দেখানো কান্না দেখিয়ে জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা বন্ধ করার নির্দেশ দেন হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের আহতদের চিকিৎসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল শেখ হাসিনার একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার প্রথম মামলায় এই ঘটনার উল্লেখ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রসিকিউশন।
চিফ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা সরকারি হাসপাতালে প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিছু চিকিৎসক, যারা আওয়ামীপন্থী ছিলেন, তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আশিক মাহমুদ নামে এক ভুক্তভোগী জানান, "শেখ হাসিনা প্রথমে হাসপাতালে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’, অর্থাৎ কোনো চিকিৎসা দেওয়া হবে না এবং কাউকেই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না যাতে তারা বাইরে চলে যেতে না পারে।"
তিনি আরও বলেন, "পতনের আগে শেখ হাসিনা আহতদের চিকিৎসা বন্ধ করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।" এই বক্তব্যের ওপর অনেক আওয়ামীপন্থী প্রশ্ন তুলেছেন, "তাজুল ইসলাম কি বুঝে বলেছেন, না না বুঝে বলেছিলেন?" কারণ, চিকিৎসা না দেওয়ার এবং রোগীকে ছাড়পত্র না দেওয়ার বিষয়টি অনেকেই ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন।
প্রসিকিউটরের দাবি, "আমরা যখন পঙ্গু হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে কথা বলি, তখন অনেক রোগী বলেন যে শেখ হাসিনা তাদের দেখতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘এদের চিকিৎসা কোনোভাবেই দেওয়া হবে না’ এবং কাউকেই ছাড়পত্র দেওয়া হবে না, অর্থাৎ ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’।"
আহতরা আরও জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। বেশ কিছু সময় চিকিৎসকরা কোনো সাহায্য করেননি, এমনকি আহতদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয়েছিল। চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় অনেক আহত ব্যক্তি অসহ্য কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল কেনান জানিয়েছেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখার জন্য দায়ী চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে।"
প্রসিকিউশন টিম জানায়, "শেখ হাসিনার নির্দেশে চিকিৎসা বন্ধ রাখা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি বড় দলিল।" এটি গণহত্যা ও চিকিৎসা সেবা বন্ধের মতো অপরাধের জন্য প্রথম মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে। চিকিৎসার অধিকার বঞ্চিত করা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য, যা এক ধরনের টর্চার বা নির্যাতন হিসেবেই বিবেচিত।
এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি উঠছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- অবশেষে ৫ বছর পর আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে সুখবর
- বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবেন সাকিব
- ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যু: আসল সত্যতা প্রকাশ
- ভারতীয়দের জন্য কানাডায় ভিসা বন্ধ ঘোষণা
- সেনাপ্রধানের বক্তব্যে নিয়ে কড়া বার্তা পাঠাল ভারত-পাকিস্তান
- বাংলাদেশিদের ২৪ ঘণ্টায় ফি ছাড়া ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
- বেড়ে গেল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- কমে গেল সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেট
- ইতালির ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে এলো সুখবর, আগামী মাস থেকে আবেদন শুরু
- ৭ দিন পর বাড়ল মালয়েশিয়ান রিংগিতের বিনিময় দাম
- বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে! আইন কি বলে
- সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতন বাড়ল
- আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট (০১ মার্চ)