ছাত্রদের নতুন ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল "ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টি" (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ করেছে, যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে এক বিশাল জমায়েতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
এনসিপি প্রতিষ্ঠার আগে দলটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কিছু মতবিরোধ ছিল। তবে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে দলটির কাঠামো গঠন করা হয়েছে। ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নাহিদ ইসলাম, যিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে পরিচিত। নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যার ছাত্র এবং ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল, কেন বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন কখনো সফল হতে পারে না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের উত্থান অত্যন্ত জরুরি, এবং আমাদের লক্ষ্য হলো গণতান্ত্রিক পরিবর্তন আনা। আমার বিশ্বাস, ছাত্রজনতার শক্তি একত্রিত করলে রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্ভব।" তিনি আরো বলেন, "এনসিপি শুধু ছাত্রদের নয়, দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং এটি যেকোনো মত, ধর্ম বা শ্রেণীর মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।"
নাহিদের সঙ্গে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সামান্তা শারমিন, যিনি নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতা নিশ্চিত করতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। দলের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আক্তার হোসেন, প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে থাকবেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, এবং ডেপুটি হিসেবে আবদুল হান্নান মাসুদ দায়িত্বে থাকবেন।
দলের দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠন পরিচালনা করবেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, এবং উত্তরাঞ্চল দেখবেন সার্জিস আলম। দলের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সালেহ উদ্দিন সেফা।
এনসিপি দলের মূল উদ্দেশ্য হলো ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান। দলটি ঘোষণা করেছে, "এই দল শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জনগণের জন্য। কেউ যদি ক্ষমতা নিতে চান, তবে তারা এই দল থেকে সরে যাবে, কারণ আমরা জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবো।"
এনসিপি প্রতিষ্ঠার আগেই বাংলাদেশে আরেকটি ছাত্র সংগঠন গড়ে উঠেছে, যার নাম "বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ" (বিডিএস)। সংগঠনটির নেতৃত্বে আছেন আবু বাকের মজুমদার। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই সংগঠন নিয়ে কিছু অশান্তি এবং অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ করে ছাত্রীরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন।
নতুন রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর সক্রিয়তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলেছে। ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!