চোখে-মুখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলছেন শেখ হাসিনা, ট্রেনিং দিচ্ছে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক রুমে বসে আছেন, তার চোখে-মুখে কোনো অনুশোচনা নেই, বরং আত্মবিশ্বাসের স্পষ্ট ছাপ। বিপরীত দিকে সোফায় বসে আছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোবাল, যার চোখে তৃপ্তির ছাপ। তিনি সন্তুষ্ট। অজিত দোবাল, যিনি ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের কাছে দেবতার মতো এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে বেশিরভাগ সময় ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচিত, এখন হাসিনার দিকে সন্তুষ্ট দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
শেখ হাসিনা তার শাসন ও রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে সমালোচনার মধ্যে থেকেও দৃঢ় ও আত্মবিশ্বাসী। তবে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে তিনি এতটা আত্মবিশ্বাসী ও নির্লিপ্ত থাকতে পারেন? বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে রয়েছে ভারতের সরাসরি সহযোগিতা এবং পরিকল্পনা। শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাসের মূল কারণ তিনটি:
প্রথমত, ভারতীয় সরকার শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে এবং মোদি সরকারের একটি অংশ তাকে ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে মনে করে। ফলে, শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা এখনো টেবিলেই রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনাকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে তিনি তার আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে পারেন। ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমর্থন এখনও তার জন্য বিদ্যমান, এবং তারা বিশ্বাস করে যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতা পালাবদলে ভারতের কৌশলগত প্রভাব বজায় রাখতে সক্ষম।
তৃতীয়ত, শেখ হাসিনার প্রতি দেওয়া সমর্থন আসলে ভারতের রাজনৈতিক কৌশল। ভারতীয় নেতারা চান, শেখ হাসিনা তাদের জন্য কার্যকরী হয়ে থাকুন, বিশেষত ক্ষমতার পালাবদলে তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত রাখতে। এজন্য তারা প্রভাবশালী নেতাদের মাধ্যমে তাকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন, কারণ বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন। বিশেষ করে তরুণ সমাজ, যারা আগের চেয়ে আরো বেশি সরব। তারা প্রশ্ন তুলছে, "শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চাই কি না?" এই প্রশ্নের উত্তর এখন তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনার শাসনামলে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে। যারা তার প্রতি আনুগত্য দেখাতেন, তারা এখন দোটানায় পড়েছেন। দলের শীর্ষ নেতারা বিস্মিত, কারণ তারা একবারও জানতেন না যে শেখ হাসিনা তাদের ছেড়ে চলে যাবেন।
বিশ্লেষকরা এখন বলছেন, ভারতকে উচিত হবে শেখ হাসিনাকে নিয়ে নতুন করে ভাবা। কারণ, যদি তারা আবারো তাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে, তা হতে পারে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অবজ্ঞা, যারা এখন অনেক বেশি সচেতন এবং ক্ষমতার পালাবদলে নিজের মতামত প্রকাশ করতে প্রস্তুত।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!