বাংলাদেশের ইতিহাসে দুই সেনাপ্রধানের অবদান গণতন্ত্রের পথে যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক কারণে নানা অভ্যুত্থান এবং পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটে। এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে দেশ সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। অধিকাংশ সেনাপ্রধানই ক্ষমতার লোভে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তবে দুজন সেনাপ্রধান ছিলেন, যারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কখনও ক্ষমতার কাছে পরাজিত হননি। তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামরিক শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে গেছে।
এই দুই সেনাপ্রধান হলেন জেনারেল নুরুদ্দিন খান এবং জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান, যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এক অনন্য ইতিহাস রচনা করেছেন।
১৯৯০ সালের গণআন্দোলনের সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদ সেনাশাসন চালু করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জেনারেল নুরুদ্দিন খান তার বিরোধিতা করেন এবং জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এরপর, বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। শেখ হাসিনা তাকে সেনাবাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু জেনারেল ওয়াকার জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেন। এটি ছিল এক অভাবনীয় সিদ্ধান্ত, কারণ তার সামনে ছিল আত্মীয়তার সম্পর্ক এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার কঠিন সমীকরণ। কিন্তু, তিনি শেষ পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইতিহাসে চিরকাল অমর হয়ে থাকেন।
জেনারেল ওয়াকার বলেন, "দেশের সেনাবাহিনী কোনো আলাদা দ্বীপের বাসিন্দা নয়, তাই আমরা জনগণের পাশে থাকবো।" তার এই মন্তব্য দেশপ্রেম এবং সেনাবাহিনীর জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, জেনারেল নুরুদ্দিন খান ১৯৯০ সালের ৩১ আগস্ট থেকে ১৯৯৪ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সেনাপ্রধান ছিলেন। তিনি ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে রাজনীতি থেকে সরে যান। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে তার সাহসী ভূমিকার কারণে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০৭ সালে, অন-ইলেভেন সরকার সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু সেনাপ্রধান দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নেন। তার এই অটল অবস্থান আজও অব্যাহত রয়েছে।
প্রতি বছর জাতীয় শহীদ সেনাদিবসে, জেনারেল ওয়াকার তার দেশপ্রেমের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
এই দুই সেনাপ্রধানের সাহসী ভূমিকার জন্যই বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে, এবং তাদের অবদান ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!