দেশের পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক; অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি যৌথবাহিনীও মাঠে কাজ করছে। তবে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধের ঘটনা বেড়ে গেছে, যা জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাসদস্যদের নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান। তিনি যৌথবাহিনীর সদস্যদের ধৈর্য ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বড় অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে, বিশেষত রাজধানীর বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ছিনতাই এবং মোহাম্মপুরে সংঘবদ্ধ ডাকাতির মতো ঘটনা।
এসব অপরাধের পর জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি, সাভার ক্যান্টনমেন্টে ফায়ারিং প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন—
_"আমরা ভেবেছিলাম দ্রুত কাজ শেষ করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাব, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কাজ দীর্ঘমেয়াদী হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে।"_
তিনি আরও বলেন— _"যতদিন পর্যন্ত নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেয় এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে না আসে, ততদিন সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।"_
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাসদস্যদের পেশাদার আচরণ বজায় রাখার নির্দেশ দেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন— _"অপ্রয়োজনীয় বল প্রয়োগ করা যাবে না। যতটুকু না করলেই নয়, ঠিক ততটুকুই করতে হবে। যৌথবাহিনীর সদস্যদের অবশ্যই সংযত থাকতে হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় উশৃঙ্খল আচরণ করা যাবে না।"_
তিনি আরও যোগ করেন— _"যদি বল প্রয়োগ করতেই হয়, তবে তা হতে হবে ন্যূনতম ও আনুপাতিক হারে। কম বল প্রয়োগে কাজ সম্পন্ন করাই সর্বোত্তম পদ্ধতি। একসঙ্গে কাজ করলে আমরা নিশ্চয়ই দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবো।"_
সেনা সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফায়ারিং প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে সেনাপ্রধান বলেন— _"ফায়ারিং হলো একজন সেনা সদস্যের মৌলিক প্রশিক্ষণের অপরিহার্য অংশ। প্রতিবছর আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা সেনাসদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।"_
চলমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনাপ্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী, সেনাসদস্যদের শৃঙ্খলা, ধৈর্য এবং সংযম বজায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে হবে।
জনগণ আশা করছে, যৌথবাহিনীর কার্যকর তৎপরতায় দেশ আবারও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসবে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন