দক্ষিন এশিয়ার পরাশক্তি হবে বাংলাদেশ, ভারতের সব চেষ্টা এবার বৃথা

বাংলাদেশের সামনে এখন এক অপার সম্ভাবনার দ্বার খোলা রয়েছে, এবং তা কাজে লাগাতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। দেশের ভূ-অবস্থান এবং ভৌগোলিক সুবিধাগুলো এমন এক শক্তি হয়ে উঠতে পারে, যা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের মানচিত্রে সরল চোখে কিছুই মনে না হলেও, একটু গভীরভাবে দেখলেই এই দেশের ভূ-অবস্থান পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী কৌশলগত সুবিধা হিসেবে উঠে আসে। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ তার এই ভূ-রৌশনিক সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে সক্ষম হয়নি, মূলত প্রতিবেশী ভারত এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কারণে। তবে এখন সময় এসেছে এসব সুবিধা কাজে লাগানোর।
বিশ্বের প্রধান নৌ-রুটের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর। এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার, যা বিশ্ববাণিজ্যের প্রধান জলপথের সঙ্গে যুক্ত। আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের হিসাব মতে, বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ জলপথে হয়ে থাকে, এবং এর মধ্যে ৬০ শতাংশই বঙ্গোপসাগর দিয়ে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তার দক্ষিণের সমুদ্রসীমা, যা সরাসরি আন্তর্জাতিক শিপিং রুটের সঙ্গে যুক্ত। বিশ্বের ৪৪টি ভূবেষ্টিত দেশ, যাদের কোন সমুদ্রবন্দর নেই, তারা আমদানি-রপ্তানির জন্য অন্য দেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর এই দেশের জন্য বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
নেপাল এবং ভুটান, যাদের নিজস্ব সমুদ্রবন্দর নেই, তারা ভারত ও চীনের উপর নির্ভরশীল। তবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর তাদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক বন্দর। কিন্তু ভারতীয় শিলিগুড়ি করিডর, যা বাংলাদেশের ব্যবহার অনুমোদন দেয়নি, এই সুযোগে বাঁধা সৃষ্টি করছে।
এছাড়া, বাংলাদেশের ভূ-রৌশনিক গুরুত্ব আরও বাড়ছে, কারণ নেপাল তার হাইড্রো পাওয়ার রপ্তানি করতে চায়। যদি শিলিগুড়ি করিডরের ৩০ মাইল পথের অনুমতি পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশ সরাসরি নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে।
সম্প্রতি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস এই ভূ-অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, যদি এই প্রকৃতির আশীর্বাদ সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে বাংলাদেশকে আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল সুযোগ অপেক্ষা করছে, যেখানে দেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্যিক দিক থেকে বিপুল আয় অর্জন করা সম্ভব। সিঙ্গাপুরের মতো দেশ যেভাবে সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তার জিডিপির ৭ শতাংশ আয় করছে, বাংলাদেশও এমন সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
বাংলাদেশের ভূ-অবস্থান এখন তার সবচেয়ে বড় শক্তি। যদি এটি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে বাংলাদেশ আসন্ন সময়ে এশিয়ার পরাশক্তি হয়ে উঠতে পারে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন