| ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

দক্ষিন এশিয়ার পরাশক্তি হবে বাংলাদেশ, ভারতের সব চেষ্টা এবার বৃথা

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ ২১:০৭:১৮
দক্ষিন এশিয়ার পরাশক্তি হবে বাংলাদেশ, ভারতের সব চেষ্টা এবার বৃথা

বাংলাদেশের সামনে এখন এক অপার সম্ভাবনার দ্বার খোলা রয়েছে, এবং তা কাজে লাগাতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। দেশের ভূ-অবস্থান এবং ভৌগোলিক সুবিধাগুলো এমন এক শক্তি হয়ে উঠতে পারে, যা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের মানচিত্রে সরল চোখে কিছুই মনে না হলেও, একটু গভীরভাবে দেখলেই এই দেশের ভূ-অবস্থান পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী কৌশলগত সুবিধা হিসেবে উঠে আসে। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ তার এই ভূ-রৌশনিক সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে সক্ষম হয়নি, মূলত প্রতিবেশী ভারত এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কারণে। তবে এখন সময় এসেছে এসব সুবিধা কাজে লাগানোর।

বিশ্বের প্রধান নৌ-রুটের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর। এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার, যা বিশ্ববাণিজ্যের প্রধান জলপথের সঙ্গে যুক্ত। আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের হিসাব মতে, বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ জলপথে হয়ে থাকে, এবং এর মধ্যে ৬০ শতাংশই বঙ্গোপসাগর দিয়ে হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তার দক্ষিণের সমুদ্রসীমা, যা সরাসরি আন্তর্জাতিক শিপিং রুটের সঙ্গে যুক্ত। বিশ্বের ৪৪টি ভূবেষ্টিত দেশ, যাদের কোন সমুদ্রবন্দর নেই, তারা আমদানি-রপ্তানির জন্য অন্য দেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর এই দেশের জন্য বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।

নেপাল এবং ভুটান, যাদের নিজস্ব সমুদ্রবন্দর নেই, তারা ভারত ও চীনের উপর নির্ভরশীল। তবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর তাদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক বন্দর। কিন্তু ভারতীয় শিলিগুড়ি করিডর, যা বাংলাদেশের ব্যবহার অনুমোদন দেয়নি, এই সুযোগে বাঁধা সৃষ্টি করছে।

এছাড়া, বাংলাদেশের ভূ-রৌশনিক গুরুত্ব আরও বাড়ছে, কারণ নেপাল তার হাইড্রো পাওয়ার রপ্তানি করতে চায়। যদি শিলিগুড়ি করিডরের ৩০ মাইল পথের অনুমতি পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশ সরাসরি নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে।

সম্প্রতি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস এই ভূ-অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, যদি এই প্রকৃতির আশীর্বাদ সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে বাংলাদেশকে আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না।

বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল সুযোগ অপেক্ষা করছে, যেখানে দেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্যিক দিক থেকে বিপুল আয় অর্জন করা সম্ভব। সিঙ্গাপুরের মতো দেশ যেভাবে সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তার জিডিপির ৭ শতাংশ আয় করছে, বাংলাদেশও এমন সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।

বাংলাদেশের ভূ-অবস্থান এখন তার সবচেয়ে বড় শক্তি। যদি এটি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে বাংলাদেশ আসন্ন সময়ে এশিয়ার পরাশক্তি হয়ে উঠতে পারে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ

হেরেও যেভাবে বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় হার। তবে সেই হারই শেষ কথা হয়ে দাঁড়ায়নি ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে লুইস ফিগো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের আবির্ভাব শুধু মাঠেই নয়, এর ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...