শবে বরাতে দুই দল মানুষ আল্লাহর ক্ষমা পাবে না
-1200x800.jpg)
শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত, যা আমাদের দেশে ও অনেক মুসলিম দেশে শবে বরাত নামে পরিচিত, এক মহিমান্বিত রাত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও মুক্তি লাভের রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। যদিও হাদিসে এই রাতকে "শবে বরাত" নামে উল্লেখ করা হয়নি, তবে বিশুদ্ধ হাদিস অনুযায়ী, এ রাতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের প্রতি দয়ার দৃষ্টি দেন এবং বহু মানুষকে ক্ষমা করেন।
রাসুল (সা.) বলেছেন: "আল্লাহ তাআলা মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টি জগতের প্রতি দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন।" (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৩৯০)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তাআলা শবে বরাতের রাতে তার করুণা ও ক্ষমার দরজা উন্মুক্ত করেন। তবে দুই দল মানুষ এই ক্ষমা থেকে বঞ্চিত হয়:
১. মুশরিক (যারা আল্লাহর সাথে শরিক করে)
যে ব্যক্তি শিরকের সঙ্গে লিপ্ত, সে মুশরিক। শিরক মানে একমাত্র মহান আল্লাহর অধিকারকে অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া বা তার সঙ্গে কাউকে শরিক করা। যেমন—মূর্তিপূজা, কবরপূজা, পীরপূজা ইত্যাদি।
শিরক আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় পাপ। কোরআনে এটিকে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ বলা হয়েছে এবং বারবার শিরক থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহ বলেন: "নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সঙ্গে শরিক করাকে ক্ষমা করেন না। তবে তিনি যাকে ইচ্ছা, অন্য সকল গুনাহ ক্ষমা করেন।" (সুরা নিসা: ৪৮)
এমনকি শিরকের কারণে জান্নাতও হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন: "যে আল্লাহর সাথে শরিক করে, তার জন্য জান্নাত হারাম করা হয়েছে এবং তার স্থান হবে জাহান্নাম।" (সুরা মায়েদা: ৭২)
তাই যারা শিরকে লিপ্ত থাকে, তারা শবে বরাতের রাতে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করতে পারবে না।
২. মুশাহিন (যার অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ আছে)
মুশাহিন হলো সেই ব্যক্তি, যার অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ, শত্রুতা বা ঈর্ষা রয়েছে। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী বা অন্য মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, তাদের অনিষ্ট কামনা করে।
ইসলাম মানুষকে কল্যাণকামী হতে শিক্ষা দেয় এবং হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করতে নিষেধ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন:
"তোমরা পরস্পরের প্রতি হিংসা করো না, বিদ্বেষ রেখো না, সম্পর্ক ছিন্ন করো না। বরং আল্লাহর বান্দা হিসেবে একে অপরের ভাই হয়ে যাও।" (সহিহ মুসলিম: ৬২৯৫)
হিংসা মানুষের নেক আমল ধ্বংস করে দেয়।
নবিজি (সা.) বলেছেন: "তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাকো। কারণ হিংসা নেক আমলগুলোকে এমনভাবে ধ্বংস করে দেয়, যেমন আগুন কাঠকে পুড়িয়ে ফেলে।" (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০৫)
একজন মুমিনের হৃদয়ে ঈমান ও হিংসা একসঙ্গে থাকতে পারে না।
নবিজি (সা.) বলেছেন: "কোনো বান্দার অন্তরে ঈমান ও হিংসা একত্রে থাকতে পারে না।" (সুনানে নাসাঈ: ৩১০৯)
যারা অন্যদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব রাখে, তারা শবে বরাতের বরকত ও ক্ষমা থেকে বঞ্চিত হয়।
এই রাতে কী করণীয়?
শবে বরাতের ফজিলতপূর্ণ রাতে আমাদের উচিত—
শিরক ও হিংসা-বিদ্বেষ থেকে নিজেদের হৃদয়কে পবিত্র করা।
পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করা।
যদি কারও প্রতি অন্যায় করে থাকি, তবে ক্ষমা চাওয়া ও অন্যদের ক্ষমা করা।
এভাবে আমরা আল্লাহর করুণা ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় তাঁর নিকট দোয়া করতে পারি।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নকিয়ার ইনজুরিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলতে পারেন মুস্তাফিজ
- আল আউটের পর বোলিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের দাম
- ২০ ওভার শেষে দেখে নিন বাংলাদেশের সর্বষেশ স্কোর
- পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানলেন সাকিব, ২০ ওভার শেষ দেখে নিন স্কোর
- বেড়িয়ে এলো অভিনেতা শাহবাজ সানীর মৃত্যুর আসল কারণ
- বাড়ল মালয়েশিয়ান রিংগিতের দাম
- বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের রেট
- একটু পরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, সরাসরি যেভাবে দেখবেন
- বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ, দেখে নিন সর্বশেষ স্কোর
- আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- কমে গেল সৌদি রিয়ালের দাম
- আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতল বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ