| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

শাবান মাসে যে আমল করলে সারা জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৫ ১৪:৩৯:৫৯
শাবান মাসে যে আমল করলে সারা জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে

আরবি ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস শাবান, যা একে “সুবর্ণ মাস” বলা হয়। এটি ইসলামি বর্ষপঞ্জির গুরুত্বপূর্ণ মাসগুলোর একটি এবং রমজানের আগের মাস হওয়ায় এটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এ মাসের মধ্যবর্তী সময়টি একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ রাতের জন্য পরিচিত, যা শবে বরাত নামে আখ্যায়িত।

‘শব’ ফারসি শব্দের অর্থ রাত, আর ‘বরাত’ এর মানে সৌভাগ্য। আরবিতে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাত’ হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতের বিশেষ রাত, যা বিশেষভাবে সৌভাগ্য এবং দয়া লাভের জন্য উদযাপিত হয়।

শাবান মাসকে রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবেও অভিহিত করা হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, "তোমরা রমজানের জন্য শাবানের চাঁদের হিসাব রাখবে" (তিরমিজী, হাদিস: ৬৮৪)। এর মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে, শাবান মাস রমজান মাসের প্রস্তুতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, শাবান মাসে সিয়াম পালন করা খুবই ফজিলতপূর্ণ, কারণ রাসুল (সা.) এই মাসে বেশি বেশি সিয়াম পালন করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) শাবান মাসের চেয়ে বেশি সিয়াম কোনো মাসে পালন করতেন না। তিনি প্রায় পুরো শাবান মাসেই রোজা রাখতেন, এবং বলতেন, "তোমরা যতটুকু সক্ষম, ততটুকু আমল করবে। কারণ, আল্লাহ যখন তোমরা ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত সওয়াব দান বন্ধ করেন না।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৪৬)

এছাড়া, আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, "রমজানের পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রোজা কোনটি?" জবাবে নবীজি (সা.) বলেছিলেন, "রমজানের সম্মানার্থে শাবান মাসের রোজা"। এরপর আবার প্রশ্ন করা হয়, "কোন সাদকা সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ?" নবীজি (সা.) উত্তরে বলেছিলেন, "রমজান মাসের সাদকা সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ" (তিরমিজী, হাদিস: ৬৬০)।

শাবান মাসে সবচেয়ে উত্তম হলো প্রথম দিকে বেশি বেশি রোজা রাখা। এক হাদিসে এসেছে, "শাবান মাসের অর্ধাংশ চলে গেলে এরপর রোজা রাখা উচিত নয়" (তিরমিজী, হাদিস: ৭৩৬)।

শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাতের রাতটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। এই রাতে নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার করা অত্যন্ত পুণ্যময় কাজ। মনে রাখতে হবে, শবে বরাতের সব আমলই নফল, তাই এগুলি একাগ্রচিত্তে এবং নিজ ঘরে শান্তিপূর্ণভাবে করা উচিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, "এই রাতে আল্লাহ দুনিয়া এবং আসমানে যা কিছু ঘটবে, তা নির্ধারণ করেন এবং বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন, তবে যাদের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি নেই, তাদের জন্য দয়া নেই।" (সহিহ মুসলিম)

এই রাতে, বিশেষ করে যারা ইতোমধ্যেই আল্লাহর পথে চলছেন, তাদের জন্য এই রাতটি অত্যন্ত লাভজনক। তারা আল্লাহর কাছে শাফা'আত ও দয়া কামনা করতে পারেন।

শাবান মাসের মধ্যে শবে বরাতের রাতটি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত ও দয়া লাভের সুযোগ। এটি এক বিশেষ সময়, যখন সকল মুসলিম আল্লাহর কাছে নিজেদের তওবা ও ইস্তিগফার নিয়ে ফিরে আসতে পারেন, যাতে তাদের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক; গত ১০ মার্চ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তির নতুন তালিকা প্রকাশ ...

হঠাৎ করে মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন যে নাম দিল আইসিসি

হঠাৎ করে মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন যে নাম দিল আইসিসি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) হল বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী সর্বোচ্চ সংস্থা। তাদের প্রকাশিত তথ্য সাধারণত ...

ফুটবল

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচের ...

বাংলাদেশ ম্যাচের আগে অবসর ভেঙে ফিরছেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়

বাংলাদেশ ম্যাচের আগে অবসর ভেঙে ফিরছেন ভারতের তারকা খেলোয়াড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার মাত্র ৮ মাসের মধ্যে আবারও ভারতের জাতীয় দলের ...