| ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

স্ট্রোক হলে সাথে সাথে কী করবেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৩ ১৪:৪২:৪৮
স্ট্রোক হলে সাথে সাথে কী করবেন

স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি গুরুতর রোগ, যা রক্তনালির অস্বাভাবিকতার কারণে মস্তিষ্কের এক অংশের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, স্ট্রোক হার্টের রোগ নয়।

স্ট্রোকের লক্ষণ

- হঠাৎ শরীরের কোনো অংশ অবশ বা দুর্বল হয়ে যাওয়া। - মাথাব্যথা ও বমি হওয়া। - হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। - কথা জড়িয়ে যাওয়া বা একেবারেই কথা বলতে না পারা।

স্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিক করণীয়

যদি এই লক্ষণগুলো দেখা যায়, তবে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সম্ভব হলে কাছের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান করে স্ট্রোকের ধরন নির্ধারণ করা উচিত, কারণ স্ট্রোক দুটি কারণে হতে পারে—একটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়া এবং অন্যটি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়া, এবং চিকিৎসার পদ্ধতিও আলাদা।

অজ্ঞান রোগীর জন্য জরুরি চিকিৎসা - রোগীর শ্বাসনালি, শ্বাসপ্রশ্বাস এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে হবে। - রোগীকে এক পাশে কাত করে শোয়াতে হবে, মাথা নিচু করে, তবে বালিশ ছাড়া। - চোখের যত্ন নিতে হবে। - মূত্রথলির যত্ন নিতে হবে (প্রয়োজনে ক্যাথেটার দিতে হবে)। - রোগীকে খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।

সব স্ট্রোক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন হয় না। তবে যদি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, অজ্ঞান হওয়া বা স্ট্রোকের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগ থাকে, তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি। চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হল মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো, রোগীর কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতে স্ট্রোক প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপি নেয়া উচিত। বাংলাদেশে প্রতি হাজারে স্ট্রোকের হার ৫-১২, এবং প্রায় ৫ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়

স্ট্রোক অনেকাংশেই প্রতিরোধযোগ্য। এর জন্য সচেতনতা অপরিহার্য। স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, যেমন:- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা - ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা - ধূমপান পরিহার করা - রক্তে চর্বি নিয়ন্ত্রণ করা - নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা - ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা - প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া

চিকিৎসা করলে প্রায় ৩০ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান, এবং ৩০ শতাংশ রোগী পক্ষাঘাতে আক্রান্ত থাকেন। সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব মানুষের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা বেশি, তবে কম বয়সী মানুষের মধ্যেও স্ট্রোক হতে পারে।

স্ট্রোকের বিভিন্ন কারণ

- ডায়াবেটিস - উচ্চ রক্তচাপ - রক্তে অতিরিক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল - ধূমপান

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

দল পেলেন মুস্তাফিজ

দল পেলেন মুস্তাফিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে মাঠে ফেরার অপেক্ষা শেষ হচ্ছে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে লুইস ফিগো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের আবির্ভাব শুধু মাঠেই নয়, এর ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...