বাংলাদেশে মার্কিন সহায়তা বন্ধের নির্দেশনা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে চলমান সব প্রকল্প এবং কর্মসূচির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থায়ন অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ইউএসএইড বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক রিচার্ড অ্যারন এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠনগুলোর উদ্দেশে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
ইউএসএইড জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য আর কোনো সহায়তা প্রদান করবে না। তবে জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরের জন্য সামরিক সহায়তা এই সিদ্ধান্তের আওতার বাইরে থাকবে।
‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তার পুনর্মূল্যায়ন ও পুনঃসামঞ্জস্যকরণ’ শীর্ষক চিঠির মাধ্যমে ইউএসএইড বাংলাদেশ কর্তৃক সব বাস্তবায়ন অংশীদারদের জানানো হয়েছে, যাতে তারা ইউএসএইড-বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি, কার্যাদেশ, অনুদান বা অন্যান্য অধিগ্রহণ বা সহায়তা তহবিলের আওতায় সব কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ বা স্থগিত করে।
এছাড়া, চলমান প্রকল্পগুলোর ব্যয় সঞ্চয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউএসএইড নিশ্চিত করেছে যে, তাদের অর্থায়নে চলমান সব প্রকল্পে আর কোনো অর্থায়ন থাকবে না এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৫০ বছর ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে সহায়তা দিয়ে এসেছে, যার মধ্যে রয়েছে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম। এই সময়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা প্রদান করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালে বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালে ৪৯০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
এদিকে, ২৪ জানুয়ারি, ট্রাম্প প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ইসরায়েল ও মিসর বাদে অন্য সব দেশে মার্কিন সহায়তা তহবিল স্থগিত থাকবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক গোপন নথিতে উল্লেখ করেছেন যে, বিদ্যমান বা নতুন সহায়তার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো অর্থ ছাড় করা হবে না। আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে সব বিদেশি সহায়তার বিষয়গুলো পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতির অংশ।
এ সিদ্ধান্তটি বিশ্বব্যাপী বিদেশি সহায়তা ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়নের উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা