| ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো লুটের কারিগর ছিলেন শেখ রেহানা

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ জানুয়ারি ১৮ ১২:০৮:৩২
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো লুটের কারিগর ছিলেন শেখ রেহানা

নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো লুটের কারিগর ছিলেন শেখ রেহানা। তাঁর শাসনামলে, শেখ হাসিনা একাধারে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং শেখ রেহানা ছিলেন তাঁর ছায়া প্রধানমন্ত্রী, যার প্রভাব ছিল বিস্তৃত। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা। ২০০০ সাল পরবর্তী তিন বছরে বেসিক ব্যাংকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ হয়, তার নেতৃত্বে ছিলেন শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু। এই সময় বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে তুমুল সমালোচনা হলেও শেখ রেহানার প্রভাবের কারণে বাচ্চু ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। শুধু বেসিক ব্যাংক নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য ব্যাংকগুলোর অনিয়মের পেছনে শেখ রেহানার নামও উঠে এসেছে।

স্বৈরাচারী সরকারের আমলে শেখ রেহানার নাম উচ্চারণ করতে সাহস পেত না কেউ। বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, শেখ রেহানা, সালমান এফ রহমান এবং চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের যোগসাজশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে সালমান এফ রহমান ও নাফিজ সরাফাতের মাধ্যমে শেখ রেহানার কাছে সুপারিশ পাঠানো হতো। সুপারিশ করলে শেখ হাসিনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ দিতেন। তবে এই নিয়োগের আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বড় অঙ্কের ঘুষ দিতে হতো শেখ রেহানাকে। এই ঘুষের টাকা সাধারণত বড় ঋণগ্রহীতা বা কর্পোরেট গ্রুপগুলোর মাধ্যমে পরিশোধ করা হতো, যাতে তাদের ঋণ পাওয়ার পথে কোনও বাধা না আসে।

২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে চেয়ারম্যান, পরিচালক ও এমডি নিয়োগ দেওয়া হয় দলীয় বিবেচনায়। এসব ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে কাজী বাহারুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে আবুল বারকাত, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে খন্দকার বজলুল হক, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে আহমেদ আল কবির, এবং বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু নিয়োগ পেয়েছিলেন। এই ব্যক্তির মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে পরিশোধ হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১,২৫,০০০ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৪০% ছিল খেলাপি। পরবর্তীতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই পরিমাণ আরও বেড়ে ১,৫০,০০০ কোটি টাকার বেশি হয়ে যায়। এর ফলে, পাঁচটি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি তীব্রভাবে বেড়ে গেছে। এই দুরবস্থার পেছনে শেখ রেহানা, সালমান এফ রহমান ও চৌধুরী নাফিজ সরাফাত চক্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

মৃত্যুর ভয় নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন কোচ হাথুরুসিংহে

মৃত্যুর ভয় নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন কোচ হাথুরুসিংহে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে শুরু হয় রাজনৈতিক ও ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে লুইস ফিগো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের আবির্ভাব শুধু মাঠেই নয়, এর ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...