বেলুচিস্তানে ব্যাপক সং ঘ র্ষ, ২৭ জন নি হ ত

পাকিস্তানের অস্থিতিশীল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে চলমান বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহের মধ্যে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল একটি বড় অভিযান পরিচালনা করেছে, যার ফলস্বরূপ ২৭ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই অভিযানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে, যেখানে বেলুচিস্তানের কাছি জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোপন আস্তানায় নিরাপত্তা বাহিনী হামলা চালায়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, যেখানে নিহত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রুপগুলোর ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী গোপনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আস্তানাটি ঘেরাও করে এবং এর পর পরই সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। দীর্ঘ গোলাগুলির পর ২৭ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়। এছাড়া, অভিযান চলাকালীন সময়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। কয়েকটি গোপন আস্তানাও ধ্বংস করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আরও জানায় যে, তারা বেলুচিস্তানে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে যে সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম চলছে, সেগুলিকে নির্মূল করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বেলুচিস্তান প্রদেশের সশস্ত্র বিদ্রোহীরা কয়েক দশক ধরে স্বাধীন বেলুচিস্তান প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে এবং পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে। বেলুচিস্তানে সোনা, তামা, গ্যাস এবং অন্যান্য খনিজ সম্পদের উল্লেখযোগ্য মজুদ রয়েছে। এছাড়া, গোয়াদর বন্দরটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা চীনের ব্যাপক বিনিয়োগের আওতায় রয়েছে।
বেলুচিস্তান অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও পরিচিত গোষ্ঠী হল বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এই গোষ্ঠী প্রায়ই পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন স্থাপনা ও গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। এই বিদ্রোহীরা মনে করে যে, বেলুচিস্তানকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা তাদের ন্যায্য অধিকার।
পাকিস্তান সরকার এই বিদ্রোহী কার্যকলাপ মোকাবেলা করতে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করলেও, বেলুচিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন। তাছাড়া, বেলুচিস্তানের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও, এই অঞ্চলের জনগণের দাবী এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি করার জন্য একটি সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!