বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন উত্তেজনা, বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে ডেকেছে দিল্লি

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েন নতুন মাত্রা লাভ করেছে। সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে দুই দেশের সম্পর্কের ফাটল আরো গভীর হচ্ছে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশের আপত্তি উপেক্ষা করে নতুন নতুন সীমান্ত বেড়া নির্মাণ করছে, যার ফলে এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার, পশ্চিমবঙ্গের মালদার বৈষ্ণবনগরের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হলেও, রবিবার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কুমিল্লার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের শাহাপুর এলাকায় নতুন বেড়া তোলার কাজ শুরু করে। এতে এলাকাটিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানায়, সীমান্তে থাকা একটি পুকুরের এক তৃতীয়াংশ ভারতে, বাকি অংশ বাংলাদেশে অবস্থিত। উভয় দেশের মানুষই এই পুকুর ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু নতুন বেড়া নির্মাণের ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তারা অভিযোগ করছে, সীমান্ত পিলারের কাছাকাছি কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ফলে তাদের বসবাস এবং চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের নাগরিকদের ভয় দেখাচ্ছে এবং জিরো পয়েন্টের দিকে গেলে তাদের অস্ত্র তাক করে সীমান্ত ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি গুলি করারও হুমকি দেয়া হচ্ছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্তমানে কুমিল্লা সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সীমান্তে প্রবেশের পথগুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে, সোমবার ভোররাতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকার বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা ফজরের নামাজের সময় গুলির শব্দ শুনতে পায়।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে, সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রতিবাদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে। এর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, সোমবার দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরুল ইসলামকে ডেকে নেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার দুপুরের দিকে, সাউথ ব্লকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে থেকে বাংলাদেশি ডেপুটি হাই কমিশনারকে বের হতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গত ছয় মাস ধরে চলমান এই উত্তেজনা কবে এবং কোথায় গিয়ে থামবে, তা বলা কঠিন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, সম্পর্কের এই টানাপোড়েন কোন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নয়, বরং দুই দেশের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক স্বার্থে সম্পর্ক পুনরায় স্বাভাবিক করা জরুরি।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন