মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের কর বাড়ায় এনবিআর ঘেরাও
দেশের মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সেবায় নতুনভাবে সম্পূরক কর আরোপের সিদ্ধান্ত সরকারের একটি অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ বলে অভিমত প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত জনকল্যাণ এবং ন্যায়বিচারের নীতির পরিপন্থি। সরকারের এই সিদ্ধান্ত যদি দ্রুত প্রত্যাহার না করা হয়, তবে তারা এনবিআর কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব কথা বলা হয়।
বক্তারা আরও জানান, সরকার ইন্টারনেট সেবায় নতুন কর আরোপের মাধ্যমে জনগণের সেবার আওতায় আসার পথ কঠিন করে ফেলেছে। এর ফলে নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়বে। সরকার যদি কর কমিয়ে সেবা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারত, তবে ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে পারত এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বেড়ে যেত। তবে এই সিদ্ধান্ত জনগণের জন্য আরও বেশি সমস্যা তৈরি করবে এবং সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বর্তমানে শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। ইন্টারনেট সেবা খাতের ওপর এই নতুন কর আরোপের কারণে এই খাত বিপদের মুখে পড়বে। নতুন ১০ শতাংশ এসডি এবং ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকরা অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়বেন এবং সেবা খাতটি আরও সংকটের মধ্যে পড়বে। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে, তারা গ্রাহক এবং সেবা খাতের অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করবেন।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধু বড় উদ্যোক্তাদেরই ক্ষতি হবে না, ছোট উদ্যোক্তাদের ওপরও গুরুতর প্রভাব পড়বে। এর ফলে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপবে, যা জনগণকে ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, নতুন করের বোঝা জনগণকে আরও ভোগান্তিতে ফেলবে এবং সরকারের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি করবে। তিনি দ্রুত এই হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রযুক্তিবিদ ও বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া ইন্টারনেট সেবায় নতুন কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের ফলে টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা খাত বিপদে পড়বে এবং গ্রাহকরা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে না, বরং সেবার মানও কমে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করার জন্য নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, তারা আশা করেছিলেন ৫ আগস্টের পর আর রাজপথে নামতে হবে না, কিন্তু এখন আবার রাজপথে দাঁড়াতে হয়েছে। সরকার জনস্বার্থ বিবেচনা না করে রাতের আঁধারে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা জনগণের জন্য নতুন ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তিনি সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার আহ্বান জানান। অন্যথায়, তারা এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি সহ আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিস, পাঠাও এর সিইও ফাহিমসহ খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরা।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশ সীমান্তে বিমান হা'ম'লা'য় নি'হ'ত ৪০
- আজ ০৬/০১/২৫; লাফিয়ে বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের রেট, দেখে নিন আজকের রেট
- ব্রেকিং নিউজ ; আজ বিশাল বাড়ল সৌদি রিয়ালের দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- কমে গেল বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের রেট ; ৮ জানুয়ারি ২০২৫
- বিশাল বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের রেট, দেখে নিন আজকের রেট
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- বাড়ল সৌদি রিয়ালের দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- আজও বাড়ল সৌদি রিয়ালের দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- বাড়ল মালয়েশিয়ান রিংগিতের দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- আজও বাড়ল সৌদি রিয়ালের দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- আজ ঢাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ খারাপ!
- চরম দু:সংবাদ, ভিসা বন্ধ করল
- ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা চালু
- ৩ পয়সা বাড়ল মালয়েশিয়ান রিংগিতের দাম, দেখে নিন আজকের দাম
- আজ ০৭/০১/২০২৫ তারিখ, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট