ব্রেকিং নিউজ ; বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে বিমান হা'ম'লা'য় নি'হ'ত ৪০

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) এই হামলা সংঘটিত হয়, যা স্থানীয় উদ্ধারকর্মী এবং একটি জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছে।
রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ২০২২ সালে তারা রাজ্যটির বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে নিলে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তে এবং অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই গোষ্ঠীটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, বিশেষত জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
২০২১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের পর দেশটির গণতন্ত্রপন্থী সরকার পতিত হয়, এবং এর পর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়, যার কেন্দ্রস্থল রাখাইন। এই সংঘাতে বহু বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এএফপির একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে রাখাইনের রামরি দ্বীপের কিয়াওক নি মাউ শহরে সেনাবাহিনীর বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলার ফলে স্থানীয় এলাকাজুড়ে বড় ধরনের আগুন লেগে যায়, এবং ৫০০ এরও বেশি বাড়িঘর পুড়ে যায়।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থু খা জানিয়েছেন, এই হামলায় অন্তত ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের এক সদস্যের মতে, নিহতের সংখ্যা ৪১ জন এবং আহতের সংখ্যা ৫২ জন। তিনি জানান, হামলার পর উদ্ধার কার্যক্রমে পরিবহন সমস্যার কারণে চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান সংঘাতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং বেসামরিক জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে, রামরি দ্বীপে চীনের অর্থায়নে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রকল্প রয়েছে। তবে মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই বন্দর নির্মাণ স্থগিত রয়েছে। এই বন্দরটি ভারতের প্রবেশদ্বারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে, কিন্তু চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কাজটি আটকে রয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ জানিয়েছে, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৫ লাখ বেশি। চলতি বছর এই সংকট আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলি মিয়ানমারের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অব্যাহত রেখেছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!