| ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

সমন্বয়ক হাসনাতকে আ'ট'ক করল সেনাবাহিনী, বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ জানুয়ারি ০৪ ১৭:০৩:৪৪
সমন্বয়ক হাসনাতকে আ'ট'ক করল সেনাবাহিনী, বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে ০২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক দাবি ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে নকিব আশরাফ নামের এক ব্যক্তি পোস্ট করেন যে, হাসনাত আবদুল্লাহকে সন্ধ্যা ৬টায় আটক করা হয় এবং পরে তাকে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে ৫ ঘণ্টা পর মুক্তি দেওয়া হয়। নকিব আরও দাবি করেন, হাসনাতের মুক্তির জন্য ড. আসিফ নজরুলসহ ৪ জন উপদেষ্টা ও ঢাবির তিনজন জামায়াতপন্থী শিক্ষক সেনাপ্রধানের কাছে অনুরোধ করেন। তিনি দাবি করেন যে, মুক্তির আগে হাসনাতকে উলঙ্গ করে দুই ঘণ্টা ফ্লোরে শুইয়ে বেত্রাঘাত করা হয়।

এছাড়া, এই দাবির সমর্থনে একটি ফটোকার্ডও ছড়ানো হয়েছে, যা দেশ টিভির আদলে তৈরি। তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, হাসনাত আবদুল্লাহ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হননি। প্রকৃতপক্ষে, ০২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হাসনাত কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দাবির সূত্র হিসেবে একটি ব্লগপোস্টের লিংক উল্লেখ করা হয়, যা "sadhinbangladeshnews247" নামে একটি ব্লগস্পট সাইট থেকে এসেছে। রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে দেখা যায়, এটি একটি ভুঁইফোঁড় সাইট, যার কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ওই সাইটে হাসনাত আবদুল্লাহর গ্রেফতারের ব্যাপারে মিথ্যা দাবি করা হয়, কিন্তু বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।

কুমিল্লার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহ ০২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা সদরের একটি রেস্তোরাঁয় জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, তিনি কুমিল্লার একটি বিদ্যালয়ে বিদায়ী অনুষ্ঠানে বক্তব্যও দেন। সেই সময়ের ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, হাসনাত সেনাবাহিনীর হেফাজতে ছিলেন না।

ইন্টারনেট ও সংবাদমাধ্যমে হাসনাতের গ্রেফতার সংক্রান্ত যে দাবি ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এই দাবির সত্যতা অস্বীকার করেছে। দেশ টিভির ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটেও এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি।

তবে, দেশ টিভির ফেসবুক পেজে ০২ জানুয়ারি একটি পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহসহ তিনজনের ফেসবুক আইডি "নষ্ট" হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই পোস্টে পরে সম্পাদনা করে “সেনাবাহিনীর হেফাজতে” লেখাটি যুক্ত করা হয়, যা একটি নকল ফটোকার্ড হিসেবে প্রচারিত হয়েছে।

পরবর্তী অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার নিশ্চিত করেছে, দেশ টিভির ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে ওই দাবির সাথে সম্পর্কিত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ডের অস্তিত্ব মেলেনি। এর পাশাপাশি, মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো থেকেও এই গ্রেফতার সংক্রান্ত দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

অতএব, হাসনাত আবদুল্লাহ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

কে বড় সুপারস্টার, সাকিব নাকি হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেকে সাকিব আল হাসান এবং হামজা চৌধুরীর মধ্যে তুলনা করার চেষ্টা করছেন। এই ...

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

তাসকিন-ফিজ আসলেই যাচ্ছেন আইপিএলে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে কারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের 'মিস্টার ডিফেন্ডেবল' এর গল্পটা বলা যাক। ২০০৮ সালের আইপিএল এর প্রথম আসরের ...

ফুটবল

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে খেলতে হামজার বাংলাদেশে আগমনের সময় চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরি ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচের ...

ভারতকে হারাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবার বাংলাদেশ

ভারতকে হারাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবার বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। ...