অবশেষে ভারতের হাতছাড়া সে'ভে'ন সি'স্টা'র্স: নে'প'থ্যে আমেরিকার ষ'ড়'য'ন্ত্র

আজাদি, আজাদি, খাটের তলায় ‘আজাদি’, পকেটে আজাদী—এমন শোরগোলের মাঝে কিছুতেই দেশ স্বাধীন থাকবে না। বাংলাদেশের ভবিষ্যতও অন্ধকারে। কখনো ফেনী, কখনো রংপুর, এমন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য এখন আলোচিত হয়ে উঠেছেন রিপাবলিক বাংলার ভাইরাল মলম বিক্রেতা সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন। তবে সবচেয়ে বড় আলোচনা হচ্ছে, ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো ক্রমেই নিজেদের স্বাধীনতা দাবি করছে, আর এর পেছনে গোপন সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তাহলে কি, ভারতের সেভেন সিস্টার্সগুলো সত্যিই ভারতের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে?
ভারতের মণিপুরের বিদ্রোহীরা এখন এমনভাবে সংগঠিত হয়েছে যে, তারা রকেট লঞ্চার, স্নাইপার, এম ১৬, এম ফোর সহ আধুনিক আমেরিকান অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করছে। এমনকি পুরো রাজ্য জুড়ে যখন ইন্টারনেট বন্ধ, তখনও বিদ্রোহীরা স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে—এতে ব্যবহার হচ্ছে ইলোন মাস্কের ‘স্টারলিংক’ সেবা। এমনকি, সেসময় বিদ্রোহীদের অস্ত্রশস্ত্রের জন্য দায়ী মূল শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নামও উঠে আসছে। মণিপুরের এই অস্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তা করছেন নরেন্দ্র মোদী, কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় এখনো বের হয়নি।
মিয়ানমার এবং ভারতের সেভেন সিস্টার্সের এই অঞ্চলে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। মিয়ানমার থেকে আসা বিদ্রোহীরা মণিপুরে প্রবেশ করেছে এবং সেখানে তারা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছে, যা ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং পুলিশের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের মণিপুর রাজ্যটিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে সরকারি হিসেবেও প্রায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারতের সেনাবাহিনী প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে, কিন্তু সহিংসতা কমছে না।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহীরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মণিপুরে প্রবেশ করে অস্ত্র সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার এবং স্নাইপার রাইফেল। মণিপুরের এই পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের দাবি, মিয়ানমার থেকে আসা বিদ্রোহীরা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে, যার ফলে সহিংসতা আরও বেড়েছে।
তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, মণিপুরে বিদ্রোহীরা কীভাবে এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে? মণিপুর রাজ্যে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পরেও তারা কীভাবে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেদের যোগাযোগ বজায় রাখছে? এবং সেই ইন্টারনেট সেবা আসছে কোথা থেকে? এটি এক বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, মণিপুরের বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ‘স্টারলিংক’ ব্যবহার করছে। এমনকি, ভারতের সরকারের কাছে এই সেবা কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই।
এমন পরিস্থিতিতে, ভারতের সেভেন সিস্টার্সের ভাঙন এবং মণিপুরের বিদ্রোহীদের সমর্থন নেয়ার বিষয়টি গভীরভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক আগ্রহের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। বিশেষ করে, যখন ট্রাম্পের আমেরিকা ভারতের এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, তখন প্রশ্ন উঠছে, কি সত্যিই ভারতের সেভেন সিস্টার্স হারিয়ে যাবে?
বর্তমানে মণিপুরের পরিস্থিতি একেবারে মোদী সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, আর ভারতীয় মিডিয়া একে একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হিসেবে উপস্থাপন করছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—আমেরিকা কি আসলেই ভারতের ভাঙনের পেছনে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী শক্তি?
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নকিয়ার ইনজুরিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলতে পারেন মুস্তাফিজ
- আল আউটের পর বোলিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ২০ ওভার শেষে দেখে নিন বাংলাদেশের সর্বষেশ স্কোর
- পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানলেন সাকিব, ২০ ওভার শেষ দেখে নিন স্কোর
- বেড়িয়ে এলো অভিনেতা শাহবাজ সানীর মৃত্যুর আসল কারণ
- বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের রেট
- বাড়ল মালয়েশিয়ান রিংগিতের দাম
- একটু পরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, সরাসরি যেভাবে দেখবেন
- বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ, দেখে নিন সর্বশেষ স্কোর
- আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- কমে গেল সৌদি রিয়ালের দাম
- আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- দেশে ফের বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতল বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ