রোহিত শর্মা, তামিম-সাকিবকে পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়লেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান অন্যতম। তারা যেখানে দেশীয় ক্রিকেটের শীর্ষে, সেখানে প্রায় অপ্রকাশিত এক নায়ক হিসেবে থেকেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে এবার সেই মাহমুদউল্লাহ তার সেরা ক্রিকেটারদেরও পেছনে ফেলে একটি বিরল রেকর্ড গড়লেন। বয়স হয়ে গেছে ৪০-এর কাছাকাছি, তবু এই অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের ছাপিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন একটি মাইলফলক স্পর্শ করলেন।
এবারই প্রথম, বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দুইশ' ছক্কা হাঁকানোর কীর্তি গড়লেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিব, তামিম কিংবা মুশফিকুর রহিম—কেউই এত বড় রেকর্ড গড়তে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক ছক্কার সংখ্যা ছিল ১৯৭, আর তারপরেই তিনি সেটি দুইশ'তে নিয়ে যান।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলছেন। দীর্ঘ এই সময়ে তিনি কখনো সেভাবে আলোচিত হননি, তবে দেশের ক্রিকেটের জন্য তার অবদান কখনোই অবহেলিত হয়নি। দল যখন প্রয়োজন, তখন মাহমুদউল্লাহ নিজের ব্যাটে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন, কখনো নিদাহাস ট্রফি, কখনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে। অথচ অনেক সময়ই তিনি থেকেছেন আড়ালে, অন্যদের ছায়ায়।
বিশেষ করে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়, এবং গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৪ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর তার ছক্কার সংখ্যা একশ' ৯৭ ছিল। এই ইনিংসে তিনি সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান। এর মাধ্যমে তিনি পৌঁছান নতুন রেকর্ডে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার ব্যাপারে তামিমের আগে ছিল ১৮৮টি ছক্কা, যেখানে তিনি ৪৪৮ ইনিংস খেলেছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৩০ ইনিংসে ২০০ ছক্কা হাঁকিয়ে তামিমকে ছাপিয়ে গেছেন।
তবে মাহমুদউল্লাহর রেকর্ডের চমকপ্রদ দিক হলো, তার অধিকাংশ ছক্কাই এসেছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ৭৭টি ছক্কা নিয়ে এই সংস্করণে তিনি অনেকটা এগিয়ে। তামিম ও সাকিবের মতো তারকা ক্রিকেটারদের পেছনে ফেলে এই বিরল রেকর্ড গড়া সহজ ছিল না, কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার অভিজ্ঞতা ও নিরব প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি অর্জন করেছেন।
তবে মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ার শুধু পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধ নয়। তার কাছ থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো—ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় এসেও কিভাবে নিজেকে প্রমাণ করা যায়। যখন অনেকেই মনে করেন, তার সময় শেষ, তখন তিনি ফিরে আসেন আরও বড় অর্জন নিয়ে। বাংলাদেশের সেরা ব্যাটাররা যা পারেননি, সেটা মাহমুদউল্লাহ করে দেখালেন।
তার এই অসাধারণ কীর্তি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য নতুন এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যা পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নকিয়ার ইনজুরিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলতে পারেন মুস্তাফিজ
- আল আউটের পর বোলিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- ২০ ওভার শেষে দেখে নিন বাংলাদেশের সর্বষেশ স্কোর
- পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানলেন সাকিব, ২০ ওভার শেষ দেখে নিন স্কোর
- বেড়িয়ে এলো অভিনেতা শাহবাজ সানীর মৃত্যুর আসল কারণ
- বাড়ল সিঙ্গাপুর ডলারের রেট
- বাড়ল মালয়েশিয়ান রিংগিতের দাম
- একটু পরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, সরাসরি যেভাবে দেখবেন
- বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ, দেখে নিন সর্বশেষ স্কোর
- আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- কমে গেল সৌদি রিয়ালের দাম
- আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- দেশে ফের বাড়ল সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার
- আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি, দেখেনিন আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতল বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ