সিরিয়ায় সরকার পতনে কলকাঠি নেড়েছেন এরদোয়ান!

মাত্র এক সপ্তাহ আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন ছিল এক অপ্রত্যাশিত বিষয়। তবে, সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর চমকপ্রদ পাল্টা আক্রমণ একেবারে এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। আসাদের পতনের মাধ্যমে সিরিয়ায় নতুন এক যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—এবার দেশটি কোন পথে যাবে?
বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, তুরস্কের সহায়তা ছাড়া সিরিয়ায় এই আন্দোলনের সফল পরিণতি সম্ভব হতো না। তুরস্কের শরণার্থী শিবিরগুলোতে সিরিয়ার অন্তত ৩০ লাখ বাস্তুচ্যুত নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে। সম্প্রতি, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সিরিয়ার শরণার্থীদের ফেরত যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আসাদকে চাপ দিয়েছিলেন, তবে আসাদ তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তুরস্কের জন্য এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়, কেননা শরণার্থীদের সিরিয়ায় ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান। এরদোয়ান সরকারের এই অভিযানে সিরিয়ার কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতি তুরস্কের সমর্থন ছিল বলে জানা যায়।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ার শাসনভার ধরেছিলেন স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ। তার পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি কোন পথে এগোবে তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সিরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় লাখো মানুষের উল্লাস দেখা গেলেও, পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আইএস বা ইসলামিক স্টেট, যেটি এক সময় সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখল করেছিল, তারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডারহাম ইউনিভার্সিটির শান্তি ও নিরাপত্তা বিভাগের অধ্যাপক রবার্ট গেস্টের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকতে চাইলেও, বাশার আল আসাদ সরকার উৎখাতের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ইসলামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল শাম’ (HTS) সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও জটিল করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে এই গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে এবং HTS-এর প্রধান আবু মোহাম্মদ আল জ্বুলানির মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে।
১৯৬৩ সালে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টি। দীর্ঘ ৬১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পর, সিরিয়া রাজনৈতিক দল গঠনের সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চর্চায় পিছিয়ে পড়েছে। বর্তমানে, সিরিয়ার জনগণ এবং পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশটি আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। কারণ, এখানে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে, যা দেশটিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা সময়ই বলবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশের বিশাল কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ড. ইউনূসকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সেনাপ্রধান
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- এক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী বাবা-ছেলের লড়াই
- বাংলাদেশের প্রতিবাদ দেখে ই/স/রা/ই/ল জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় (ভিডিওসহ)
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশের ‘পাসপোর্ট’ ইস্যুতে কড়া জবাব দিল ইসরাইলি গণমাধ্যমে
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- কিভাবে বুঝবেন সন্তান পর্নোগ্ৰাফিতে আসক্ত
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!