ব্রেকিং নিউজ ; বাজার থেকে হাওয়া সয়াবিন তেল

রাজধানীর কচুক্ষেত বাজারে শনিবার দুপুরে সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে ভোক্তা রাকিবুল হাসান পাঁচটি দোকান ঘুরে মাত্র একটি দোকানে দুই লিটারের বোতল পেয়েছেন, তবে সেটি ছিল নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫ টাকা বেশি। তিনি জানান, "আমি এক লিটার তেল চেয়েছিলাম, কিন্তু একাধিক দোকান ঘুরেও তা পাইনি। শেষ পর্যন্ত দুই লিটার তেল কিনতে হয়েছে।" তার মতো অনেক ক্রেতা এখন সয়াবিন তেলের সংকটের মুখে পড়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারেও একই অবস্থা, যেখানে কিছু দোকানে তেল পাওয়া গেলেও দাম ছিল গায়ে লেখা মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি।
বিক্রেতারা জানান, সয়াবিন তেলের তীব্র সংকটের কারণে তারা বাধ্য হয়ে খোলা তেল বিক্রি শুরু করেছেন। খুচরা বিক্রেতারা আরও জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমে গেছে এবং এটি এখন শুধুমাত্র কিছু কোম্পানি সরবরাহ করছে, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
টিসিবির (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) তথ্য অনুযায়ী, এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বর্তমানে ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেলের দাম ১৫৮-১৫৯ টাকা। তবে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটের কারণে দাম বেড়ে গেছে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে এর সমাধানে।
বিক্রেতাদের মতে, সয়াবিন তেলের সংকটের মূল কারণ হল ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বাজারে কম তেল সরবরাহ করা। তেল আমদানির জন্য সরকারের শুল্ক-কর কমানোর পরেও আমদানির পরিমাণ বাড়েনি। বিশেষত, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমদানিকারকরা অতিরিক্ত দামে তেল আমদানি করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এর ফলে বাজারে তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে গত এক মাসে সয়াবিন তেলের দাম ৫০ ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, সয়াবিন তেলের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে এবং তেল কোম্পানিগুলোও যথেষ্ট পরিমাণ সরবরাহ করতে পারছে না। সিটি গ্রুপের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, "বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। যদিও সরকার শুল্ক কমিয়েছে, উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় দাম কমানো সম্ভব হয়নি।"
এদিকে, ক্রেতারা বিশেষ করে রমজান মাসকে সামনে রেখে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তাদের আশঙ্কা, অসাধু ব্যবসায়ীরা তেল মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। রায়েবাজারের এক ক্রেতা সাজ্জাদুল আলম বলেন, "অনেক দোকান খুঁজে তেল পেয়েছি, তবে দাম বেশি নিয়েছে। তেল না নিলে খাব কী?"
এ পরিস্থিতিতে সরকার ভোজ্যতেল সরবরাহ বাড়াতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে বাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল বলেছেন, "সরবরাহকারীরা তেলের দাম কমানোর পরিবর্তে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।"
এই পরিস্থিতিতে অনেক ক্রেতা বাধ্য হয়ে টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে তেল সংগ্রহ করছেন। রমজান মাসের আগে যদি সংকট সমাধান না হয়, তবে সাধারণ মানুষের জন্য এই সংকট আরও তীব্র হতে পারে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে
- মোবাইলেই জেনে নিন—বাপ-দাদার নামে কোথায় কত জমি আছে!