অবশেষে এতদিন পর সামনে এলো মুনতাহা হ*ত্যা'র আসল কারণ

সিলেটের কানাইঘাটে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) হত্যার প্রকৃত কারণ এখন জানা গেছে। তাকে হত্যা করেছে তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তার, যাকে সহযোগিতা করেছে তার মা আলিফজান বিবি। গত রোববার ভোরে, মার্জিয়া তার মায়ের সঙ্গে মুনতাহার মরদেহ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে, হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল জানিয়েছেন, মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি এবং তার নানি কুতুব্জানকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই মুনতাহার পাশের বাড়ির বাসিন্দা।
এ ঘটনার পর পুলিশের তদন্তে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তারা হলেন—নিজাম উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন এবং আরও একজন, যার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
মুনতাহা ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পর, তার মরদেহ ৮ দিন পর ১০ নভেম্বর ভোরে বাড়ির পুকুরে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার কারণে সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া মুনতাহাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। মুনতাহার শিক্ষক সুমি তাকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর ক্ষোভ ছিল মার্জিয়ার পরিবারের ওপর, আর চুরির অপবাদও তার পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করেছিল।
মুনতাহা ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে খেলতে বের হয়। তবে বিকেলের পর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় এবং তার সন্ধানে দেশ-বিদেশে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়।
কানাইঘাট থানার ওসি জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে মুনতাহার গৃহশিক্ষিকাকে আটক করা হয়, কারণ তার কথাবার্তা অসংলগ্ন ছিল। রাতেই তার বাড়ির দিকে নজর রাখা শুরু হয় এবং সকালে মুনতাহার পরিবার সদস্যরা দেখতে পান, আলিফজান বিবি মুনতাহার মরদেহ মাটির নিচে পুঁতে রেখে স্থানীয় পুকুরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন।
পুলিশের তদন্তে, মার্জিয়া ও তার মা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং মুনতাহার চাচা কয়সর আহমেদ জানান, মার্জিয়া তার পূর্ব শত্রুতার কারণে মুনতাহাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে এবং পরে মরদেহ ডোবায় পুঁতে রাখে।
এ ঘটনার পর, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী স্থানীয় সুমির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ময়নাতদন্ত শেষে মুনতাহার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদ জানান, পুলিশ প্রথম থেকেই আন্তরিকভাবে মুনতাহার সন্ধানে কাজ করছিল, তবে কোনো ক্লু পাচ্ছিল না। শনিবার সাংবাদিকরা মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে করলে, পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশের তথ্যমতে, স্থানীয়রা মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে আটক করেন যখন তিনি মুনতাহার মরদেহ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। পরে জানা যায়, সে মরদেহ প্রথমে মাটিতে পুঁতে ফেলেছিল এবং পরে সেটা তুলে পুকুরে ফেলতে যাচ্ছিল।
আফসার উদ্দিন আরও জানান, মার্জিয়া মুনতাহার প্রতিবেশি ছিল এবং একসময় মুনতাহাকে পড়াতো। মার্জিয়ার স্বামী পরিত্যাক্তা হওয়ায়, তিনি বাড়ির বাইরে গেলে মুনতাহাকে সঙ্গ নিতেন। সবার বিশ্বাস ছিল যে মার্জিয়া একজন নির্ভরযোগ্য মানুষ।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দল পেলেন মুস্তাফিজ
- সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের পথ চিরতরে বন্ধ হল
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ২২ বছরের যুবতী
- ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা
- ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা করছে ভারত
- ভারত থেকে নেতা-কর্মীর উদ্দেশে কঠিন প্রতিশোধের বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
- মারা গেছেন তোফায়েল আহমেদ সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- গাজায় নিহত ইসরায়েলি ৪১২ সেনা নিহত
- ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়া বৃদ্ধের আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- কেন বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- ৫ বছর পর স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- বাংলাদেশে সব রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত, এর পেছনে কারণ কি
- বাংলাদেশকে সুখবর দিলো চীন
- ড. ইউনূসকে নিয়ে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন হিলারি ক্লিনটন
- ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন তৈরির মূল্যবান খনিজ আছে বাংলাদেশে