ব্রেকিং নিউজ ; মোস্তাফিজুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার

৮ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া ১৭ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের মরদেহ পাওয়ার পর, তার পরিবার এবং গ্রামবাসীর মধ্যে শোকের সাগরে ডুবে গেছে পুরো এলাকাটি। জীবিত ফিরে পাওয়ার আশা হারিয়ে, এখন শুধু তার মরদেহটি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন মোস্তাফিজের মা-বাবা, ভাই-বোন এবং আত্মীয়-স্বজন। তাদের হৃদয়বিদারক বিলাপ এবং কান্নায় সারা গ্রাম ভারাক্রান্ত।
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার মসরইল (শংকরপুর) গ্রামের কৃষক বাবা আনোয়ার হোসেন এবং মা মোসলেমা দম্পতির একমাত্র ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, যিনি মধইল বিএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, সম্প্রতি গণিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। তার শোবার ঘর এখন শুন্য, দেওয়ালে ঝুলছে আইডি কার্ড, আর তার ঘরেও নিঃশব্দ শোক।
গত বুধবার, ১৩ নভেম্বর, এলাকার লোকজন একটি ধানক্ষেতে গর্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হাতের হাড় ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখতে পান। গর্তের মধ্যে ছিল অর্ধগলিত মরদেহের কিছু অংশ, যা পুলিশের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়। পরে, সেই জায়গায় পড়ে থাকা শার্ট ও লুঙ্গি দেখে পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন যে, তা মোস্তাফিজের। এরপর থেকেই গ্রামে একটানা শোকের ছায়া নেমে আসে।
একদিন পর, ১৪ নভেম্বর, আবারও ধানক্ষেতের অন্য এক স্থানে মাথার চামড়া, কিছু চুল, নখ ও কলিজার অংশ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও পুরো মরদেহ এবং মাথা পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারনা, মোস্তাফিজকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এলাকার মসজিদের ইমামসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোস্তাফিজ নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। তার নিখোঁজ হওয়ার দিন, মাগরিবের নামাজ পড়ে তিনি মসজিদ থেকে বের হন, কিন্তু এরপর আর তাকে দেখা যায়নি। পরিবারের সদস্যরা তাকে মসজিদসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজেন, কিন্তু কোথাও তার খোঁজ মেলেনি। সবাই ভাবতে শুরু করেছিল যে, তাকে হয়তো কিছু অস্বাভাবিক কারণে নিয়ে গেছে। কিন্তু দুই দিন পর ধানক্ষেতে যে ধরনের ক্ষতবিক্ষত অংশ উদ্ধার হয়, তা থেকেই বুঝতে পারা যায়, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মোস্তাফিজের মা মোসলেমা ও বোন জিন্নাতুনের মুখে এখন শুধু আর্তনাদ। "আমরা এমন দুঃখী, আমাদের ছেলেটার মরদেহও আজ অবধি পাওয়া যায়নি। শুধু হাতের হাড়, কলিজা এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাওয়া গেছে," বললেন তারা। ছোট বোন জিন্নাতুনের গলার মধ্যে এক ধরনের শোকবিধ্বস্ত আর্তনাদ, "কীভাবে সে এমন নৃশংসভাবে খুন হয়েছে, তার কলিজা কি করে বের করে নেওয়া হলো?"
মোস্তাফিজের বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, তার ছেলের কোনো শত্রু ছিল না। তবে তিনি জানতেন যে মোস্তাফিজ তার বন্ধু নাইমকে একশ টাকা ধার দিয়েছিল, যা ফেরত চাওয়ার কথা ছিল। ওই দিন, ৬ নভেম্বর, টাকা ফেরত পাওয়ার কথা ছিল। আনোয়ার হোসেনের প্রশ্ন, "এই একশ টাকার জন্যই কি আমার ছেলের জীবন চলে গেল?" এই ঘটনায়, নাইমকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে এবং তার কাছে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
তদন্তে সহায়তা করতে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল এবং পত্নীতলা থানার ওসি শাহ মো. এনায়েতুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। জয়ব্রত পাল বলেন, "আমরা তদন্তের সমস্ত ধাপ অনুসরণ করছি এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা করছি। আমরা মোস্তাফিজের পরিবারের মতো চাই, অন্যায়কারীদের কঠোর শাস্তি হোক।"
এদিকে, এলাকার লোকজন ধানক্ষেতের পাশে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। বিশেষত, নাইমের বাড়ির আশপাশের লোকজন কোনো কথা বলতে রাজি হননি, ফলে অনেক রহস্য এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সবার আশা, দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- মাগুরার আছিয়ার বোনের মুখ থেকে সত্যিটা শোনেন (ভিডিওসহ)
- তিনজন ধ/র্ষণ করলো আছিয়ার বোনের ঘুম ভাঙেনি কেন
- মাগুরার সেই শিশুর ডিএনএ রিপোর্ট থেকে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আশঙ্কা
- মাগুরায় আলোচিত ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শুনানি হল গভীর রাতে; রায় নিয়ে যা জানা গেল
- আছিয়ার মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার মা (ভিডিওসহ)
- যশোরে বিমান বিধ্বস্ত
- আছিয়ার ধ/র্ষণ ও হত্যা মামলার এজাহারে আসামীদের ভয়াবহ লোমহর্ষক বর্ণনা
- মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধ"র্ষণ হইছে যে ঘরে (ভিডিওসহ)
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- শিশু আছিয়ার ধ/র্ষকের প্রধান আসামী হিটু শেখকে নিয়ে উঠে এলো লোমহর্ষক তথ্য
- হাসিনার বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের বিস্ফোরণ মন্তব্য; সত্য মিথ্যা যা জানা গেল
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন হার
- সেই রাতে শাশুড়ি আমার খাবারে ঘুমের ওষুধ দিছিল; আছিয়ার বোন